মুহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম,টেকনাফ:টেকনাফে রোহিঙ্গাদের মধ্যে ত্রাণ বিতরণ ও অস্থায়ী র্যাব ক্যাম্প উদ্বোধন করা হয়েছে। এসময় তিনি উপস্থিত সাংবাদিকদের প্রেস ব্রিফিং করে রোহিঙ্গাদের মানবিক সহায়তা ও সীমান্তে যাবতীয় অপরাধের বিরুদ্ধে সরকারের পাশাপাশি র্যাবের দায়িত্ব ও অবস্থান সম্পর্কে বিস্তারিত তুলে ধরেন।
৫অক্টোবর দুপুর সোয়া ৩টায় র্যাব (র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন) মহাপরিচালক বেনজীর আহমেদ টেকনাফের লেদা অস্থায়ী রোহিঙ্গা ক্যাম্পে পৌঁছেন। এরপর তিনি মিয়ানমার হতে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের মধ্যে ত্রাণসামগ্রী বিতরণ কার্যক্রম উদ্বোধন করেন। এসময় অতিরিক্ত মহাপরিচালক কর্ণেল আনোয়ার,র্যাব মিডিয়া উইং পরিচালক মুফতি মাহমুদ,র্যাব গোয়েন্দা শাখা পরিচালক লেঃ কর্ণেল মাহবুর রহমান,র্যাব-৭ অধিনায়ক লেঃ কর্ণেল মিফতাহ উদ্দিন,র্যাব-৭ কক্সবাজার ক্যাম্পের অধিনায়ক মেজর রুহুল আমিন,টেকনাফ মডেল থানার ওসি মোঃ মাইন উদ্দিন খাঁন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। এসময় উপস্থিত সাংবাদিকদের প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি জানান, প্রতিবেশী দেশ মিয়ানমারে মানব সৃষ্ট দূর্যোগের কারণে লক্ষ লক্ষ রোহিঙ্গা বাংলাদেশ সীমান্তে আশ্রয় নিয়েছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীসহ সারা বাংলাদেশের মানুষ মানবিক দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে তাদের সহায়তার হাত বাড়িয়ে দিয়েছে। আমরাও সাধ্যানুসারে ক্রোকারীজ ও শিশুদের স্বাস্থ্যসামগ্রী নিয়ে তাদের প্রতি সহায়তার হাত বাড়িয়ে দিয়েছি। পাশাপাশি রোহিঙ্গা ও স্থানীয়দের সার্বিক নিরাপত্তার জন্য সেনাবাহিনী, র্যাব, বিজিবি, পুলিশ ও গোয়েন্দাদের সমন্বয় করে কাজ করে যাচ্ছে। মিয়ানমার হতে আগত রোহিঙ্গাদের পর্যায়ক্রমে নির্দিষ্ট একটি জায়গায় স্থানান্তর করা হবে। কেউ যাতে দেশের প্রত্যন্ত এলাকায় ছড়িয়ে না পড়ে সেই ব্যাপারে স্থানীয় জনসাধারণসহ সবাইকে সজাগ থাকতে হবে। বিশেষ করে এলাকার যানবাহন মালিক,চালক ও শ্রমিকদের সর্তক থাকার উপর গুরুত্বারোপ করেন। যদি রোহিঙ্গারা অপরাধ করে আইন-শৃংখলার অবনতি,দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করার চেষ্টা করলে তাদেরও আইনের আওতায় আনা হবে। কেউ তাদের ছড়িয়ে দিতে অথবা পাচারের লক্ষ্যে আশ্রয় দিয়ে স্বার্থ হাসিল করলে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এসব রোহিঙ্গাদের পুঁজি করে জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসী কর্মকান্ড,অবৈধ বাণিজ্য এবং মাদক চোরাচালানে জড়িত থাকলে কাউকে রেহায় দেওয়া হবেনা। এই ব্যাপারে তথ্য দিয়ে প্রশাসনকে সার্বিক সহায়তার জন্য সচেতনমহল, জনপ্রতিনিধি, মিডিয়াকর্মীসহ সর্বস্তরের জনসাধারণকে এগিয়ে আসার আহবান জানানো হয়। এরপর বিকাল সাড়ে ৪টায় তিনি টেকনাফ নেটং পাহাড়স্থ বরইতলী অস্থায়ী র্যাব ক্যাম্পের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন। এরপর তিনি মেরিন ড্রাইভ সড়ক হয়ে কক্সবাজারের উদ্দেশ্যে টেকনাফ ত্যাগ করেন।