মোহাম্মদ শফি/আরাফাত সানী/মেহেদী হাসান ইমন :
টেকনাফের সরকারী-বেসরকারী পর্যায়ে ডেঙ্গু রোগ নির্ণয়ের কোন ব্যবস্থা নেই। মঙ্গলবার (৩০ জুলাই) ৫০ শয্যা বিশিষ্ট টেকনাফ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স-একটি ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার গুলোতে খোঁজ নিয়ে এতথ্য জানা গেছে। এনিয়ে সাধারন মানুষের মাঝে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে।
উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. সুমন বড়–য়া জানান, ডেঙ্গু শনাক্তের ৩টি পরীক্ষার মধ্যে হাসপাতালে সিবিসি পরীক্ষার ব্যবস্থা রয়েছে তবে বাকি দুটি পরীক্ষা এনএসওয়ান ও আইজিএম প্লাস আইজিই পরীক্ষার ডিভাইস নেই। তবে শীগগীর ডিভাইস পাওয়া যাবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।
এছাড়া টেকনাফ পৌর এলাকায় অবস্থিত একটি বেসরকারী ক্লিনিক ও কয়েকটি ডায়াগনেস্টিক সেন্টারে খোঁজ নিয়েও একই তথ্য জানা গেছে। কোথাও রোগ নির্ণয়ের ডিভাইস নেই।
তবে স্বাস্থ্য কর্মকর্তা সুমন বড়–য়া জানান, টেকনাফে ডেঙ্গু রোগের লক্ষণ নিয়ে কোন রোগী এখনো হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসেননি। ডেঙ্গু সচেতনতায় স্বাস্থ্য বিভাগের পক্ষ থেকে পোষ্টার-লিফলেট বিতরণ করা হয়েছে বলে জানিয়ে তিনি বলেন আতংকিত না হয়ে এ রোগের প্রতিরোধে ও চিকিৎসায় সচেতনতা অত্যন্ত জরুরী। যেসব জায়গায় এডিস মশার জন্ম হতে পারে সেসব জায়গা বিশেষ করে ফুলের টব, পরিস্কার জমে থাকা পানি যাতে ৩দিনের বেশী জমে না থাকে সেব্যাপারে সবাইকে সচেতন হতে হবে। বাড়ির আশে পাশে নিজ উদ্যোগে পরিস্কার রাখতে হবে।
এদিকে রাজধানী ঢাকাসহ দেশব্যাপী যেভাবে ডেঙ্গু রোগ ছড়িয়ে পড়ছে তাতে টেকনাফে এ রোগ নির্ণয়ের কোন ব্যবস্থা না থাকায় সচেতন নাগরিকদের মাঝে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে বলে জানা গেছে।
প্রসঙ্গত ডেঙ্গু রোগের ভয়াবহ ভাবে ছড়িয়ে পড়ার প্রেক্ষিতে গত ২৮ জুলাই স্বাস্থ্য বিভাগ ডেঙ্গু রোগ নির্ণয়ের ৩টি পরীক্ষার জন্য দেশব্যাপী বেসরকারী হাসপাতাল-ক্লিনিক গুলোতে মূল্য নির্ধারণ করে দিয়েছেন।
ডেঙ্গু রোগে আক্রান্ত হয়ে মঙ্গলবার সারাদেশে ৬ জনের মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।