টেকনাফে চলতি বছর আমন মৌসুমের ১০হাজার ৮শ ২০হেক্টর জমির ধান কাটা শুরু

: হুমায়ুন রশিদ
প্রকাশ: ১১ মাস আগে

হুমায়ূন রশিদ : মটেকনাফ উপজেলার ৬টি ইউনিয়ন ও ১টি পৌর এলাকায় ২০২৩-২৪ইং অর্থ বছরে চলতি আমন মৌসুমে ১০হাজার ৮শ ২০হেক্টর জমিতে বিভিন্ন প্রজাতির ধানের ফলন কাটা শুরু হয়েছে। চলতি বছরে ভাল ফলন ও ধান পাঁকা হওয়ায় কৃষকেরা কাটা শুরু করেছে।
Teknaf Pic A 2 04 11 23 TEKNAF TODAY - সীমান্তের সর্বশেষ খবর
জানা যায়,২০২৩-২৪ ইং অর্থ বছরে আমন মৌসুমে টেকনাফ উপজেলার ১নং হোয়াইক্যং ইউনিয়নে ৬হাজার ৩শ ১২ হেক্টর, ২নং হ্নীলা ইউনিয়নে ১হাজার ২শ ৮০ হেক্টর, ৩নং টেকনাফ সদর ইউনিয়নে ১হাজার ৩শ ৩০ হেক্টর, ৪নং সাবরাং ইউনিয়নে ৭শ ৮০ হেক্টর, ৫নং বাহারছড়া ইউনিয়নে ১হাজার ৪৮ হেক্টর, ৬নং সেন্টমার্টিন ইউনিয়নে ৬৫ হেক্টর এবং টেকনাফ পৌর এলাকায় ৫ হেক্টর জমিতে বিভিন্ন প্রজাতির ১০হাজার ৮শ ২০ হেক্টর জমিতে ধান চাষ করা হয়েছে। চাষাবাদকৃত ধানের মধ্যে হাইব্রিড জাতের এরাইজ গোল্ড ৫০ হেক্টর, ধানী গোল্ড ৪০ হেক্টর, ব্র্যাকসীড (মুক্তি-১) ২০ হেক্টর, ব্রি-হাইব্রিড-(৬)-১০ হেক্টর, ব্রি হাইব্রিড-(৪)-৩০ হেক্টর এবং উফশী জাতের বিআর-(১১)-১০ হেক্টর, ব্রি-ধান-(৩৩)-১০১০ হেক্টর, ব্রি-ধান-(৩৯)-১২০ হেক্টর, ব্রি-ধান-(৪৯)-২৭৩০ হেক্টর, ব্রি-ধান-(৭৩)-৩০৫ হেক্টর, ব্রি-ধান-(৭৫)-১৩২০ হেক্টর, ব্রি-ধান-(৭৮)-২১৫ হেক্টর, ব্রি-ধান-(৮০)-৯০ হেক্টর, ব্রিধান-(৮২)-০৫ হেক্টর, ব্রি- ধান-(৮৭)-৩৩০ হেক্টর, ব্রি-ধান-(৯০)-১০০ হেক্টর, ব্রিধান-(৯৩)-১১০ হেক্টর, ব্রি-ধান-(৯৪)-১৬৫ হেক্টর, ব্রি-ধান-(৯৫)-১১০ হেক্টর, বিনা-(৭)-১৮৫ হেক্টর, বিনা-(১৭)-৯৫ হেক্টর,ভারত পাইজাম-৩৩৪৫ হেক্টর, হরিধান-২৬৫ হেক্টর ও স্থানীয় জাতের বিন্নি-১৩৫ হেক্টর,কালাম পাইজাম-২৫ হেক্টর, উপ জাতের-১৬০ হেক্টরসহ সর্বমোট-১০৮২০ হেক্টর জমিতে এসব ধানের চাষ করা হয়। এসব ধানের দুই-তৃতীয়াংশ মাঠে পেকেছে। তাই কৃষকেরা ধান কাটা শুরু করে দিয়েছে। চলছে ধান মাড়াই আর শুকিয়ে গোলায় তোলার কাজ। এরই মধ্যে শীতের আমেজ শুরু হওয়ায় পিঠা-পুলির উৎসবও চলছে।
Teknaf Pic A 3 04 11 23 TEKNAF TODAY - সীমান্তের সর্বশেষ খবর
বিভিন্ন স্থানের কয়েকজন কৃষকের সাথে কথা বলে জানা গেছে যে, আল্লাহর অশেষ রহমত এবং উপজেলা ও ইউনিয়ন কৃষি কর্মকর্তাদের তদারকি ও দিক-নির্দেশনায় এবারও ভাল ফলন হয়েছে। সাম্প্রতিক সময়ে বয়ে যাওয়া ঘূর্ণিঝড় হামুনের প্রভাবে কিছু কিছু স্থানে অল্প অল্প ধান হেলে পড়েছে। আগামী কয়েক দিনের মধ্যে কোন প্রাকৃতিক দূর্যোগ না হলে আমরা ভাল ফলন ঘরে তুলতে পারব বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

এই বিষয়ে উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা শফিউল আলম কুতুবী বলেন,আমরা কৃষি ক্ষেত্রে সর্বাধিক উৎপাদন বাড়াতে সরকারের উর্ধ্বতন মহলের চেষ্টার জন্য নির্দেশনার আলোকে স্থানীয় পর্যায়ে ধানসহ বিভিন্ন সবজি উৎপাদনে সহায়তা করে আসছি। বড় ধরনের প্রাকৃতিক দূর্যোগ না থাকায় সৃষ্টিকর্তার অসীম রহমতে কৃষকেরা বিভিন্ন ক্ষেত্রে ভাল উৎপাদন করছে।

টেকনাফ উপজেলার কৃষি অফিসার জাকিরুল ইসলাম জানান,বিশেষ করে করোনা সংক্রমণের পর থেকে বিশ্বব্যাপী খাদ্য সংকট দেখা দেওয়ায় আমরা মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ দিক-নির্দেশনায় উপজেলার প্রত্যন্ত এলাকার কৃষক-কৃষাণীদের বিবিধ শাক-সবজি ও ধান উৎপাদনে উৎসাহিত করে আসছি।পাশাপাশি উপজেলা কৃষি অফিসের কর্মকর্তাগণ তদারকি, পরামর্শসহ সার্বিক সহায়তা দিয়ে আসছিল। মহান সৃষ্টিকর্তার অশেষ রহমতে আমাদের এলাকার কৃষকেরা ধান চাষসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে ভাল ফলন পাওয়ায় আমরা আনন্দিত। এলাকার পরিত্যক্ত জমিতে বেকার যুব সমাজ আয় বর্ধনমূলক চাষাবাদ করে স্বাবলম্বী হয়ে নিজেরাই নিজেদের ভবিষ্যত গড়তে এগিয়ে আসবেন বলে আশা রাখছি। ###