মুহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম / সাদ্দাম হোসাইন : হোয়াইক্যংয়ে কথা কাটাকাটির জেরধরে এক মাদকসেবী এলোপাতাড়ি কুপিয়ে এক ব্যক্তির নাড়ি-ভূঁড়ি বের করেছে। তাকে মুমূর্ষাবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
জানা যায়, ৮ সেপ্টেম্বর সকাল ১০টায় উপজেলার হোয়াইক্যং নয়াপাড়া বাজারের জনৈক আব্দুল আজিজের দোকানের সামনে স্থানীয় জালাল আহমদের পুত্র মোঃ শফিক প্রকাশ লালাইয়া (২৮) এবং আব্দুল হকের পুত্র মাদকসেবী শাহ কামালের মধ্যে একটি বিষয় নিয়ে কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে শাহ কামাল ক্ষুদ্ধ হয়ে বাড়িতে গিয়ে দা নিয়ে এসে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে নাড়ি-ভূঁড়ি বের করে রক্তাক্ত অবস্থায় ফেলে চলে যায়। পাশর্^বর্তী লোকজন ও স্বজনেরা দ্রæত মোঃ শফিক প্রকাশ লালাইয়াকে উদ্ধার করে ঊনছিপ্রাং রোহিঙ্গা ক্যাম্প এমএসএফ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসা দেওয়ার পর উন্নত চিকিৎসার জন্য কুতুপালং হাসপাতালে রেফার করা হয়। সেখানে অবস্থার উন্নতি না হওয়ায় কক্সবাজার জেনারেল হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। বর্তমানে সে উক্ত হাসপাতালে জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
এদিকে স্থানীয় সুত্রে জানা গেছে, মোঃ শফিক প্রকাশ লালাইয়া শহর এলাকা হতে বিভিন্ন ধরনের টিভি এনে পাশর্^বর্তী লোকজনকে বিক্রি করে। যথারীতি আজ ২জন ব্যক্তি টিভি কিনতে আসে। কথা-বার্তা চলাকালে একজন টিভি ক্রেতা পার্শ্ববর্তী দোকানে পান খেতে গেলে এলাকার চিহ্নিত ইয়াবাসেবী, বহনকারী ও খুচরা বিক্রেতা শাহ কামাল ইয়াবাসবন করে আসছে মর্মে মুখে তল্লাশী করে। উক্ত টিভি ক্রেতা বিষয়টি লালাইয়াকে জানালে সে দোকানে এসে বিষয়টি জানতে চেয়ে কথা কাটাকাটিতে জড়িয়ে পড়ে। এক পর্যায়ে ইয়াবাসেবী শাহ কামাল বাড়ি হতে দা নিয়ে এসে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে লালাইয়ার এই অবস্থা করে ফেলে চলে যায়।
এই ব্যাপারে স্থানীয় আব্দুল গাফ্ফার মেম্বার বলেন, আমি কাজে এলাকার বাইরে রয়েছি। লোকজন মারফতে মুঠোফোনে শুনেছি। আহত রোগীকে দ্রæত বাঁচানোর জন্য হাসপাতালে প্রেরণের নির্দেশনা প্রদান করি। এরপর আইনী সহায়তার মাধ্যমে এই নৃশংস ঘটনার সুবিচার নিশ্চিত করার আশ্বাস দেন।
এই ব্যাপারে হোয়াইক্যং পুলিশ ফাঁড়ির সাথে যোগাযোগ করা হলে উক্ত ঘটনায় এখনো কোন ধরনের লিখিত অভিযোগ পাওয়া যায়নি। অভিযোগ এলে যথাযথ পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
