কক্সবাজার প্রতিনিধি-
কক্সবাজারের টেকনাফে বিজিবি চেকপোস্টে তল্লাশীর নামে প্রবাসীকে নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে। নির্যাতনে আহত আবদুল্লাহ (৩৫) নামে ওই ব্যক্তি কক্সবাজার সদর হাসপাতালে চিকিত্সাধীন আছেন।
কক্সবাজারের টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ সড়কের শীলখালী বিজিবি চেকপোস্টে মঙ্গলবার রাতে এই ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় বুধবার (৭ সেপ্টেম্বর) রাত দেড় টার দিকে আহত আবদুল্লাহকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
বিজিবির সদস্যদের হাতে মারধরের শিকার প্রবাসী টেকনাফ উপজেলার কায়ুকখালী পাড়ার মৃত শফিউজ্জামানের পুত্র।
এ ঘটনায় বিজিবির বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ না দিতে একটি ভিডিও ধারন করে বলে জানান ভুক্তভোগি প্রবাসী।
আবদুল্লাহ জানান, কিছুদিন আগে মায়ের মৃত্যুর সংবাদ শুনে মালেশিয়া থেকে দেশে ফিরেন। তার দুটি স্ত্রী রয়েছে। প্রথম স্ত্রী টেকনাফ ও ২য় স্ত্রী কুমিল্লায় থাকেন।
কুমিল্লা থেকে টেকনাফে এসেছিলেন মায়ের কবর জিয়ারত করতে। কবর জিয়ারত শেষে প্রথম স্ত্রী থেকে বিদায় নিয়ে সন্ধ্যায় টেকনাফ থেকে নীলদরিয়া নামের মিনি বাস করেকক্সবাজার ফেরার পথে শীলখালী বিজিবি চেকপোস্টে পৌছালে বিজিবির একজন সদস্য আমার দেহ তল্লাশি করে। কিছু না পেয়ে একটি গোপন টর্চার কক্ষে নিয়ে উলঙ্গ করে তল্লাশি করে। এসময় বিজিবির সদস্যরা কিছু না পেয়ে তুর কাছে ইয়াবা আছে বলে থাপ্পর মারে। স্যার আমার কাছে কিছু নেই বললেও লাঠি দিয়ে বেধড়ক মারধর করতে থাকে। কিছুক্ষণ মারধরের পর একটি খালি জায়গায় নিয়ে ইয়াবা আছে বল প্রয়োগ করে মলত্যাগ করান। এতেও ইয়াবা না পেয়ে বিজিবির দুই সদস্য ক্ষিপ্ত হয়ে শালার ব্যাটা তোর কাছে ইয়াবা আছে বলে আবারো মারধর করেন। এইতো আমি অজ্ঞান হয়ে পড়ে যায়। কিছুক্ষণ পর মুমূর্ষ অবস্থাতে আমাকে একটা গাড়িতে তুলে দেন। ঐ গাড়িটা আমাকে কক্সবাজার বাস টার্মিনাল এলাকায় এসে ফেলে দিয়ে চলে যায়।
কক্সবাজার বাস টার্মিনালে মুমূর্ষ অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখেন স্থানীয় সংবাদকর্মী শামসুল আলম শ্রাবণ। তিনি সেখান থেকে তাকে উদ্ধার করে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে নিয়ে যান।
শ্রাবণ বলেন, তাকে উদ্ধারের পর জানতে চাইলে তাকে বিজিবি চেকপোস্ট ইয়াবা না পেয়ে মারধর করেছে। পরে আমি তার অবস্থা অবনতি দেখে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে নিয়ে আসি।
এই বিষয়ে জানতে টেকনাফ-২ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল শেখ খালিদ মোহাম্মদ ইফতেখার জানান, অভিযুক্ত তিন বিজিবি সদস্যের বিরুদ্ধে বিভাগীয় শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহন করা হয়েছে।