মোঃ আশেক উল্লাহ ফারুকী : টেকনাফ উপজেলা হ্নীলা ইউনিয়ন আশ্রিত রোহিঙ্গা অধ্যুষিত জনপদ। এ ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের পশ্চিম লেদা নুরালী পাড়া মাদক ও অবৈধ অস্ত্রের রমরমা বাণিজ্যের জন্য খ্যাত। লেদায় ২৫নং রোহিঙ্গা ক্যাম্প স্থাপিতের পর থেকে পশ্চিম লেদা নুরালী পাড়া মাদক ও অস্ত্রের ব্যবসায় জড়িত হয়ে পড়ে রোহিঙ্গা ও স্থানীয়রা। নুরাআলী পাড়াটি পাহাড়ী এলাকা বিধায় এখানে নানা অপকর্মের জন্য একটি নিরাপদ স্থান। অনুসন্ধানে জানা যায়, আশ্রিত রোহিঙ্গা এবং স্থানীয় মাদককারবারীরা পশ্চিম লেদা নুরাআলী পাড়াকে গড়ে তুলে মাদকের স্বর্গরাজ্য। পূর্ব লেদা ও আনোয়ার প্রজেক্ট চোরাই পয়েন্ট দিয়ে মিয়ানমার থেকে বস্তা বস্তা ইয়াবা গভীর রাত্রে রোহিঙ্গারা পশ্চিম লেদা নুরা আলী পাড়ার পাহাড়ের গভীর অরণ্যে মওজুদ হয়। ইয়াবা ব্যবসা ও পাচার এবং নিরাপত্তার স্বার্থে অবৈধ অস্ত্রের মাধ্যমে ওদের আধিপাত্য বিস্তার ও চলে। জাদীমুড়া শালবাগানের পর পশ্চিম লেদায় নূরালী পাড়া অপরাধ জগতের ভয়ঙ্কর একটি ক্রাইম জোন। পাহাড়ের গভীর অরণ্যে ডাকাত, সন্ত্রাসী, মাদককারবারী অস্ত্রধারীদের আস্থানা গড়ে উঠেছে এবং এখান থেকে মাদক ব্যবসাসহ সকল অপকর্মের ছক আঁকা হয়। নুরআলী পাড়ার তালিকাভূক্ত শীর্ষ মাদক কারবারী মোঃ খালেকসহ চার ভাই গোটা লেদা এলাকা নিয়ন্ত্রণ করছেন। ওদের সাথে যারা সহযোগিতা দিয়ে যাচ্ছেন তাদের মধ্যে লেদার আবুল হোসেন, মকতুল হোসেনের পুত্র মোঃ কামাল, নুরুল আমান, ইমান হোসেন ও আব্দুল গফুরের পুত্র আব্দুল্লাহ। সর্ব সাং নুরআলী পাড়া।
সরেজমিন পরিদর্শন করে জানা যায়, ওরা এলাকার চিহ্নিত মাদক ও অস্ত্র ব্যবসায়ী। ওদের কাছে এলাকাবাসী জিম্মি। অনেকেই ওদের অত্যাচারে ও নির্যাতনে এলাকা ছাড়া হয়ে নিরাপদে আশ্রয় নিয়েছে। রোহিঙ্গা ক্যাম্প স্থাপিতের পর ওরা আরো বেপরওয়া হয়ে ধরাকে শরাজ্ঞান মনে করছেন। টেকনাফে মাদক বিরোধী অভিযান ও বন্দুকযুদ্ধ চলমান থাকায় শীর্ষ মাদক কারবারী ও অস্ত্রধারীরা প্রাণ বাঁচাতে লেদাসহ পাহাড়ের গভীর অরণ্যে আশ্রয় নিয়েছে বলে একাদিক সূত্র থেকে অভিযোগ উঠেছে। মাদক সম্রাট খালেকগং নুরালী পাহাড়কে মাদক ও অস্ত্রের ঘাটিতে পরিনত করায় এলাকার যুব সমাজ দিনাদিন বিপদগামীর দিকে যাচ্ছে এবং সামাজিক নিরাপত্তা অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। অনেক পরিবার এ নিয়ে উৎকণ্ঠার মধ্যে ভোগছে। ভয়ে কেউ মুখ খুলতে পাচ্ছেনা।