“টেকনাফের রাখাইন জমিদার ক্যাজাপ্রু চৌধুরী : উথাথাও চৌধুরী অবশেষে মুখ খুললেন” শীর্ষক সংবাদের প্রতিবাদ

: নুরুল করিম রাসেল
প্রকাশ: ৩ years ago

গত ১৭ই মে ২০২২ইং তারিখ কক্সবাজার থেকে প্রকাশিত দৈনিক রূপালী সৈকত পত্রিকায় প্রকাশিত “টেকনাফের রাখাইন জমিদার ক্যাজাপ্রু চৌধুরী : উথাথাও চৌধুরী অবশেষে মুখ খুললেন” শীর্ষক বার্তা পরিবেশকের বরাতে বিজ্ঞাপন ধর্মী লিখাটা ! আমাদের দৃষ্টিগোচর হয়েছে।

উল্লেখিত লিখাটিতে সত্য-মিথ্যার সংমিশ্রনে একধরনের গালগল্পের অবতারনা করা হয়েছে।

যা পড়ে মনে হয়েছে সংবাদ মাধ্যমকে ব্যবহার ভূমিদস্যু চক্র সম্প্রতি রাখাইন জমিদার ক্যাজাপ্রু চৌধুরীর ওয়ারিশদের সম্পত্তি জবরদখলের ঘটনাকে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করার ও জনমানুষকে বিভ্রান্ত করার অপপ্রয়াস মাত্র।

প্রকৃতপক্ষে কথিত উথাথাও নামে ক্যাজাপ্রু চৌধুরীর কোন ওয়ারিশ নেই এবং তার ভূয়া জন্মনিবন্ধন সনদ ও তার প্রদত্ত ঠিকানা তদন্তে প্রমানিত হওয়ায় মরিয়া হয়ে উঠেছে ভূমিদস্যু চক্রটি।

তারা সংবাদ মাধ্যমের আশ্রয় নিয়ে সংশ্লিষ্ট পক্ষকে বিভ্রান্ত করতে উঠেপড়ে লেগেছে।

প্রকৃতপক্ষে ক্যাম্রাও চৌধুরীর কোন দ্বিতীয় স্ত্রী ছিলনা। তাঁর একমাত্র স্ত্রীর নাম মাওয়ে। দুংমা মার্মা নামে তাঁর কোন স্ত্রী ছিল না।

ক্যাম্রাউ চৌধুরীর ওয়ারিশ সনদে তা স্পষ্ট উল্লেখ করা আছে।
ক্যাম্রাও চৌধুরীর বড় সন্তান মংগ্রী চৌধুরীর দালিলিক নাম উখা খাইন চৌধুরী যা দিয়ারা জরিপে ভুলবশত উথাথাও নামে লিপিবদ্ধ হয়েছে।

মুলত মংগ্রী চৌধুরীই উখা খাইন চৌধুরী বা উক্য খাইন চৌধুরী। যা তার জীবদ্দশায় এফিডেবিট মূলে তিনি তা ঘোষনা দিয়েছিলেন যা এখনো সংরক্ষিত আছে। কাজেই এনিয়ে বিভ্রান্ত হওয়ার কোন সুযোগ নেই।

তাছাড়া ভূমিদস্যুরা উথাথাও নামে কথিত ওয়ারিশ তৈরী করে টেকনাফ পৌরসভার উপরের বাজার এলাকায় যে সম্পত্তি জবর দখলে মরিয়া হয়ে উঠেছে তা শত বছর ধরে বংশ পরস্পরায় ক্যাজাপ্রু চৌধুরী-ক্যাম্রাউ চৌধুরীর ওয়ারিশগন ভোগদখল করে আসছে। সেখানে কোন কালে কথিত উথাথাও কিংবা তার মাতা কথিত দুংমা মার্মা নামে কারো অস্তিত্ব কিংবা দখলীয় ছিলনা। মূলত মংগ্রী চৌধুরীর মেজ ছেলে ক্যা থিন জ্য চৌধুরী প্রকাশ জ্য জ্য চৌধুরীর পরলোকগমনের পর উল্লেখিত জমিদারীস্থলে কোন ওয়ারিশের স্বশরীরে অবস্থান না থাকায় ভূমিদস্যু চক্র কথিত উথাথাও নামে একজন ভুয়া ব্যক্তিকে ওয়ারিশ সাজিয়ে কোটি টাকার সম্পদ জবরদখলের পায়তারা চালিয়ে যাচ্ছে। যা ইতিমধ্যে মিথ্যা বলে বিভিন্ন তদন্তে প্রমানিত হয়েছে।

এছাড়া ক্যা থিন জ্য চৌধুরীর সাথে কথিত উথা থাও এর সাক্ষাতের যে বর্ণনা উল্লেখিত লেখায় উল্লেখ করা হয়েছে তারও কোন ভিত্তি নেয়। কেননা মৃত ব্যক্তির সাথে সাক্ষাত-আলাপের কাহিনী বর্ণনা করা একেবারেই হাস্যকর বিষয় ছাড়া আর কিছু নয়।

সর্বোপরি এটি প্রমানিত সত্য যে, রাখাইন সম্প্রদায়ের কারো নাম বাংলা ভাষায় লিখতে গেলে সচরাচর অক্ষরগত ভুল হয়ে থাকে।

কাজেই উথা থাও নামে অস্তিত্বহীন ভুয়া ওয়ারিশের গালগল্পে কাউকে বিভ্রান্ত না হওয়ার অনুরোধ জানাচ্ছি। পাশাপাশি এই কথিত উথা থাও এর আসল পরিচয় খুঁজে বের করে প্রতারক চক্রকে আইনের আওতায় আনতে আইন শৃংখলা বাহিনীর প্রতি বিনীত আহবান জানাচ্ছি।

ক্য থিন উইন
পিতা উখা খাইন চৌধুরী প্রকাশ মংগ্রী চোধুরী