টেকনাফের নয়াপাড়া শরণার্থী ক্যাম্পে রোহিঙ্গাদের বিক্ষোভ প্রদর্শনের চেষ্টা বানচাল

লেখক: নুরুল করিম রাসেল
প্রকাশ: ৯ years ago

আব্দুস সালাম, টেকনাফ |
টেকনাফের নয়াপাড়া রোহিঙ্গা শরণার্থী ক্যাম্পের রোহিঙ্গারা শুক্রবার জুমার নামাজের পর ক্যাম্পের অভ্যন্তরে একত্রিত হয়ে বিক্ষোভ প্রদর্শনের চেষ্টা করেছে। এসময় ক্যাম্পের দায়িত্বে থাকা বিজিবি, পুলিশ, আনসার সদস্যদের দ্রুত হস্তক্ষেপে তাদের বিক্ষোভ চেষ্টা বানচাল করা হয়। পরে প্রশাসনের উর্ধ্বতন কর্মকতাগন ক্যাম্পের ৭টি ব্লকের প্রতিনিধিদের নিয়ে এক মতবিনিময় সভায় মিলিত হন। এতে কোন ধরনের উত্তেজনাকর পরিস্থিতি যাতে সৃষ্টি না হয় এবং ক্যাম্পের পরিস্থিতি যাতে শান্ত থাকে সে ব্যাপারে রোহিঙ্গা প্রতিনিধিরা ঐক্যমত পোষন করেন।
সরেজমিন পরিদর্শন ও খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ১৪ অক্টোবর শুক্রবার জুমার নামাজের পর ক্যাম্পের সাধারন রোহিঙ্গারা মিয়ানমারের রোহিঙ্গাদের উপর নির্যাতনের প্রতিবাদ জানিয়ে শ্লোগান দিয়ে বিক্ষোভ ও নিহতদের জন্য গায়েবানা জানাযার জন্য এক স্থানে জড়ো হওয়ার চেষ্টা করে। এসময় ক্যাম্পে নিয়োজিত বিজিবি, পুলিশ ও আনসার সদস্যরা দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁেঁছ তাদেরকে শান্ত করে স্ব-স্ব ব্লকে ফেরত পাঠান। পরে বিকালে বিজিবি-পুলিশসহ প্রশাসনের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাগন ক্যাম্পের রোহিঙ্গা প্রতিনিধিদের সাথে মতবিনিময় করেন।
ক্যাম্প পুলিশ ইনচার্জ আবুল কাসেম জানান, জুমার নামাজ শেষে তিনি মসজিদে বসেই শ্লোগানের আওয়াজ পেয়ে দ্রুত এইচ ব্লক মাঠে জমায়েত হওয়া রোহিঙ্গাদের শান্ত করেন পরে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে খবর দেন।
বিজিবি ক্যাম্প ফাঁড়ির কমান্ডার মোজাম্মেল জানান, তিনিও দ্রুত জওয়ানদের নিয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছেন। পরে রোহিঙ্গাদের স্ব-স্ব ব্লকে ফেরত পাঠান।
teknaf-pic2_14
এদিকে বিকাল ৫টায় নয়াপাড়া শরণার্থী ক্যাম্প ইনচার্জ সাইফুল ইসলামের সভাপতিত্বে ও পরিচালনায় কমিউনিটি সেন্টারে আয়োজিত মতবিনিময় সভায় বক্তব্য রাখেন, কক্সবাজার অতিরিক্ত শরণার্থী ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা এসএম ফজলুল করিম চৌধুরী, টেকনাফস্থ বিজিবি ২ ব্যাটালিয়ন অধিনায়ক লে. কর্ণেল আবুজার আল জাহিদ, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ শফিউল আলম, বিজিবি উপ-অধিনায়ক মেজর আবু রাসেল সিদ্দিকী, টেকনাফ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) শেখ আশরাফুজ্জামান, শরণার্থী ক্যাম্প পুলিশ ইনচার্জ আবুল কাসেম প্রমুখ।
বিজিবি ২ ব্যাটালিয়ন অধিনায়ক জানান, রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসন কর্মসূচীসহ সরকারী উদ্যোগ যাতে ব্যাঘাত না হয় সে ব্যাপারে তাদেরকে বুঝানো হয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ শফিউল আলম জানান, ক্যাম্পের কিছু রোহিঙ্গা এক জায়গায় জড়ো হয়ে শ্লোগান দেওয়ার সময় বিজিবি-পুলিশ-আনসার দ্রুত অগ্রসর হয়ে তাদেরকে শান্ত করেন। এছাড়া এর পেছনে কারও ইন্ধন আছে কিনা তা খতিয়ে দেখা হবে বলে জানান তিনি।