মুহাম্মদ তাহের নঈম :
চকরিয়ার খুটাখালী ইউনিয়নের মেদাকচ্ছপিয়া জাতীয় উদ্যান এলাকা থেকে রবিউল হাসান“মুন্না’র লাশ উদ্ধারের পর পোষ্ট মর্টেম শেষে মুন্নার পরিবারের কাছে লাশ হস্তান্তর করেছে চকরিয়া থানা পুলিশ। টেকনাফ উপজেলার হোয়াইক্যং ইউনিয়নের ঝিমংখালীর মুন্নার বাড়িতে বর্তমানে শোকের মাতম চলছে। রাত ৮ টায় মুন্নার লাশ ঝিমংখালী পৌছার পর এলাকার সর্বত্র শোকের ছায়া নেমে অসে।রাত ৯টা ৩০ মিনিটে নয়াপাড়া গুরুস্তানে তার দাফন সম্পন্ন হয়। তার এক নিকটজন ও ঝিমংখালী এলাকার অপর এক টপ টেরর পরিকল্পিত ভাবে বেড়াতে নেয়ার ভাঁন করে তাকে খুন করা হয়েছে বলে প্রাথমিক ভাবে নিশ্চিত করেছে একাধিক সূত্র। তবে মুন্না কে কি কারণে,কে বা কারা খুন করেছে তা এখনো পরিস্কার করেনি তার পরিবার। তার শোকাহত স্ত্রী আরেফা বেগম জানান,আমার স্বামী খুনের নেপথ্যে নানা চাঞ্চল্যকর ঘটনা রয়েছে। যা পুলিশের তদন্তে থলের বিড়াল বেরিয়ে আসবে। বিস্তারিত পরে জানাবো বলে জানান আরেফা।
সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, ঝিমংখালীর মৃত আবদুল জলিলের পুত্র মোহাম্মদ রবিউল হাসান(২৯) প্রকাশ মুন্না গত ৭ বছর পূর্বে উটের জকির ভিসা নিয়ে আরব আমিরাত(দুবাই) যায়। গেল ফেব্রুয়ারীর ২০১৭ তে দুবাই থেকে দেশে ফিরে মুন্না। কক্সবাজারের একটি বেসরকারী ব্যাংকে তার নামে একটি একাউন্ট রয়েছে। একাউন্টে তার আরেক সৎ ভাই কে ৭ বছর আগে নমিনি দেয়া হয়। নিহত রবিউল হাসান“মুন্না’র ৭ বছর বয়সী কন্যা আরজিনা জান্নাত স্বপ্না কে ব্যাংকের নমিনি করার কথা বলে গত ২৫ এপ্রিল ঝিমংখালীস্থ তার বাড়ী থেকে বের হয় মুন্না। সন্ধায় মুন্নার মোবাইল থেকে স্ত্রী আরেফার কাছে সর্বশেষ ফোন আসে এই বলে যে, তুমি কি খাবে, তুমার সখের খাবার কি? এর পর পরই মোবাইল বন্ধ হয়ে যায়।সর্বশেষ গত ২৮ এপ্রিল শুক্রবার সন্ধ্যায় পুলিশ কক্সবাজারের চকরিয়ার খুটাখালী ইউনিয়নের মেদাকচ্ছপিয়া জাতীয় উদ্যান এলাকা থেকে তার বিকৃত লাশ উদ্ধার কওে চকরিয়া থানা পুলিশ। এ ব্যাপারে চকরিয়া থানার ওসি মোঃ বখতিয়ার উদ্দিন চৌধুরীর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়ক লাগোয়া খুটাখালী মেদাকচ্ছপিয়া জাতীয় উদ্যানের ভেতর পাহাড়ি এলাকা থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়। প্রাথমিকভাবে ধারণ করা হচ্ছে, খুনিরা তিন দিন আগে হত্যার পর লাশ জঙ্গলের ভেতর লুকিয়ে রেখে পালিয়ে যায়। তার জব্দকৃত মোবাইলের কল লিষ্ট খতিয়ে দেখা হচ্ছে।