চট্টগ্রামে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ কার্যালয়ে ঘুষ বাণিজ্য
: দিনটি ছিল মঙ্গলবার, দুপুর ১টা। হাটহাজারী পৌরসভার ৮নং মীরের খিল ওয়ার্ডের বড়–য়াপাড়া এলাকায় চট্টগ্রাম জেলা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ কার্যালয়ের ‘ক’ সার্কেলের একটি টিমের বিশেষ অভিযান চালায়।
নেতৃত্বে ছিলেন ওই কার্যালয়ের পরিদর্শক জীবন বড়–য়া ও সঙ্গীয় অন্য কর্মকর্তারা। অভিযানে শপিং ব্যাগে মোড়ানো অবস্থায় বসতঘরের মেঝের নিচে লুকায়িত অবস্থায় ১০ পিস ফেনসিডিলসহ ওই এলাকার মৃত মনমোহন বড়–য়ার ছেলে গৌতম বড়–য়াকে আটক করা হয়।
এ ঘটনায় উপ-পরিদর্শক শফিয়ার রহমান নামে এক কর্মকর্তা বাদী হয়ে হাটহাজারী মডেল থানায় একটি মামলা করেন এবং পুলিশ পরদিন বুধবার তাকে আদালতে প্রেরণ করে। তবে আটককৃত গৌতমের স্ত্রী হ্যাপি বড়–য়া মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ কার্যালয়ের কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে বলেন, ‘উদ্ধারকৃত ফেনসিডিল আমাদের বসতঘর থেকে অনেক দূরে পাওয়া গেছে।
আমার বসতঘরে পাওয়া যায়নি। এসব তারা কারও প্ররোচনায় সাজিয়েছেন।’ হ্যাপি বড়–য়া আরও বলেন, ‘আমার স্বামীকে আটকের পরক্ষণে ওই কার্যালয়ের উপ-পরিদর্শক শফিয়ার রহমান নামে এক কর্মকর্তা আমাকে এক ঘণ্টার মধ্যে তাদের কার্যালয়ে যেতে বলেন। এ সময় তিনি আমাকে বলেন, ‘ওনাকে ২৫ হাজার টাকা দিতে হবে। নয়তো ৩০ পিস ফেনসিডিল দিয়ে চালান দেবে। এক্ষেত্রে এক বছরেও জামিন হবে না। পরবর্তীতে অনেকটা রফাদফার পর সেই ২৫ হাজার টাকার পরিমাণ নেমে আসে ৬ হাজার টাকায়।
আর এ টাকা দিলে ৩০ পিস নয় ১০ পিস ফেনসিডিল উদ্ধার দেখিয়ে চালান করা হবে। অভিযুক্ত উপ-পরিদর্শক শফিয়ার রহমান আটক গৌতমের স্ত্রীর সঙ্গে এ রকম কোনো কথোপকথন হয়নি বলে জানান। যদিও গৌতমের স্ত্রীর সঙ্গে তার (উপ-পরিদর্শক) ফোনালাপের রেকর্ড এ প্রতিবেদকের কাছে সংরক্ষিত রয়েছে। এ ব্যাপারে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা জীবন বড়–য়া জানান, এ রকম কোনো ঘটনা ঘটেছে কিনা তা খতিয়ে দেখা হবে।