ফারুক আহমদ :
শরণার্থী প্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার মোহাম্মদ মাহবুব আলম তালুকদার বলেছেন মিয়ানমারে বলপূর্বক বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে বাংলাদেশ আশ্রয় দিতে গিয়ে আমাদের বনজ সম্পদ, সংরক্ষিত পাহাড় ও জীববৈচিত্র্যের অপূরণীয় ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। প্রাকৃতিক ঝুকি মোকাবেলায় সরকার ও দাতাসংস্থাগুলো রোহিঙ্গা ক্যাম্প এবং স্থানীয় এলাকায় ব্যাপক হারে বনায়নের কাজ শুরু করেছেন।
তিনি আরো বলেন, এখন থেকে রোহিঙ্গাদের মানবিক সহায়তার পাশাপাশি পরিবেশ রক্ষা সহ হারিয়ে যাওয়া জীব বৈচিত্র ফিরিয়ে আনা ও দূযণ মুক্ত করতে সকল সহযোগী উন্নয়ন সংস্থা কে এগিয়ে আসতে হবে।
কক্সবাজারের একটি অভিজাত হোটেলের কনফারেন্স রুমে আয়োজিত পরিবেশ বিষয়ক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।
পরিবেশ বিষয়ক সহযোগী উন্নয়ন সংস্থা সেন্টার ফর ন্যাচারাল রিসোর্স স্টাডিস (CNRS) আয়োজিত সেমিনারে মূল প্রবন্ধ ছিল প্রাকৃতিক পরিবেশ উন্নত করার প্রচেষ্টা এবং শরণার্থী ও স্থানীয় জনগোষ্ঠীর শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান নিশ্চিত করতে ল্যার্নিং এন্ড শেয়ারিং।
শুরুতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন ( সি এন আর এস ) সংস্থার এক্সিকিউটিভ ডাইরেক্টর ডাক্তার মোহাম্মদ মোখলেছুর রহমান। বিশেষ অতিথি ছিলেন শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার মিজানুর রহমান। প্রধান বক্তা ছিলেন আন্তর্জাতিক শরণার্থী বিষয়ক সংস্থা ইউ এন এইচ সি আরের সিনিয়র ফিল্ড অপারেশন কর্মকর্তা মিঃ ওসকার সানচিজ পিনারো ।
গত বুধবার অনুষ্ঠিত সেমিনারে বক্তব্য রাখেন পরিবেশ বিশেষজ্ঞ মোঃ আব্দুল মালেক, বায়ু বিশেষজ্ঞ ডাক্তার সৈয়দ জাকির হোসাইন, পরিবেশ বিশেষজ্ঞ ডাক্তার আসিফ জামান ও ইউএনএইচসিআরের মিস, খারিচমা থ্রানোম।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন ক্যাম্প ইনচার্জ ও সহকারী সচিব আবু উবায়দুল্লাহ,, কক্সবাজার দক্ষিণ বিভাগীয় বন কর্মকর্তা, সহকারী বন সংরক্ষক, পরিবেশ অধিদপ্তরের উপ-পরিচাল, বিভিন্ন দাতা সংস্থার প্রতিনিধি, এনজিও সংস্থার কর্মকর্তা, জনপ্রতিনিধি , ও সাংবাদিকগণ উপস্থিত ছিলেন।
সেমিনারের শুরুতে সহযোগী উন্নয়ন সংস্থা সিএনআরএস কতৃক কুতু পালং মধুরছড়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পে বাস্তবায়িত জীব বৈচিত্র ও পরিবেশ রক্ষায় বিভিন্ন কর্মকাণ্ডের চিত্র উপস্থাপন করা হয়। সেমিনারে সার্বিক সহায়তা করেন প্রকল্প ম্যানাজার মোহাম্মদ কিবরিয়া।