বার্তা পরিবেশক : সুলতান আহমদ মুক্তিযোদ্ধা (মুজিব বাহিনী)। চট্টগ্রাম জেলার বাঁশখালী থানার তথা বাঁশখালী উপজেলার প্রেম বাজারের প্রেমিক ভাইয়েরা অনেক দিন আগে একটি ওয়াজ মাহফিলের আয়োজন করেছিল। ঐ ওয়াজ মাহফিলে এক মাওলানা সাহেব ধমক দিয়ে বললেন যে, যিনি জন্ম দিয়েছেন একমাত্র তাকেই বাবা বা পিতা বলা যাবে। অন্য কাহাকেও কোন অবস্থাতেই বাবা বা পিতা বলা যাবে না। বুঝতে পারলাম না মাওলানা সাহেব কোন ফেরকার অনুসারী। উনি বুঝাতে চেয়েছেন যে, খাজা মাঈন উদ্দিন চিশতী (রহ.) কে খাজা বাবা বলা এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে জাতির পিতা বলা সঠিক নয়। ওয়াজ শেষে খাবার টেবিলে বসে মাওলানা সাহেবকে প্রশ্ন করলাম, ‘আপনি কি বিবাহিত?’ উনি বললেন ‘হ্যাঁ’। ‘আপনার কি সন্তান আছে?’ উনি বললেন ‘দু’টি মেয়ে এবং একটি ছেলে আছে’। কিছু অপ্রসাঙ্গিক কথা বলার পর এক সময় উনাকে প্রশ্ন করলাম, ‘আপনার মেয়েকে মা এবং ছেলে কে বাবা বলে কি ডাকেন’? উনি বললেন ‘হ্যাঁ’। আমি পুনরায় প্রশ্ন করলাম, ‘আপনার মেয়ে কি আপনার বাবার বিবাহিত স্ত্রী?’ এবং আপনার ছেলে কি আপনার মায়ের বিবাহিত স্বামী?’। উনি লজ্জ্বায় ‘নাউজুবিল্লাহ’ শব্দটি ব্যবহার করলেন। আপনার মেয়ে আপনার মা না হয়েও মা এবং আপনার ছেলে আপনার বাবা না হয়েও বাবা, আমি উনাকে বললাম। ‘জন্ম পিতা’, ‘ডাকের পিতা’, ধর্ম পিতা’, ‘উকিল পিতা’, ‘জাতির পিতা’, ‘খাজা বাবা’ ইত্যাদি শব্দগুলো অলংকারিক। এ জ্বলন্ত সূর্য্যরে মত পরিস্কার বিষয়টি মাওলানা সাহেব না বুঝতে পারলে তো আর জোর করে বুঝানো যাবে না; কেউ বোঝে আর কেউ বোঝে না। বোঝাটাও তকদির আর না বোঝাটাও তকদির।
পরিশ্রম আঘাত আর ত্যাগেই যার জীবন
সোলতান আহমদ
মুক্তিযোদ্ধা (মুজিব বাহিনী)
মুক্তিযোদ্ধা সনদ নং-৯৩৮৮
মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক
বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ
হ্নীলা ইউনিয়ন শাখা, টেকনাফ, কক্সবাজার।
মোবাইল : ০১৮৬৬ ৪৬৪১০৬