চীনে দ্বীপক্ষীয় সফর শেষ করে দেশে ফিরছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এক দিন আগেই তিনি দেশে ফিরছেন। তবে নির্ধারিত সব কর্মসূচি শেষ করেই দেশে ফিরবেন প্রধানমন্ত্রী।
বাংলাদেশ বিমানের একটি বিশেষ ফ্লাইট প্রধানমন্ত্রী ও তার সফরসঙ্গীদের নিয়ে বুধবার (১০ জুলাই) স্থানীয় সময় রাত ১০টায় বেইজিং আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ত্যাগ করবে এবং বাংলাদেশ সময় দিবাগত রাত ১টায় হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করবে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একটি সূত্র বিষয়টি নিশ্চিত করেছে জানিয়ে খবর প্রকাশ করেছে সংবাদ সংস্থা ইউএনবি।
প্রতিবেদনে বলা হয়, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এক দিন আগেই দেশে ফিরছেন। পূর্বনির্ধারিত সূচি অনুযায়ী চীন সফর শেষ করে বৃহস্পতিবার (১১ জুলাই) ঢাকায় ফেরার কথা ছিল তার। তবে এক দিন আগে ফিরলেও নির্ধারিত সব কর্মসূচি শেষ করেই দেশে ফিরবেন প্রধানমন্ত্রী।
সফরসূচি অনুযায়ী বুধবার চীনের স্টেট কাউন্সিলের প্রধান লি শিয়াংয়ের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা একটি প্রতিনিধি পর্যায়ের দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে মিলিত হবেন।
বুধবার বিকালে প্রেসিডেন্ট শি জিংপিংয়ের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকের পর হাসিনা তার সফর শেষ করবেন।
বাংলাদেশ ও চীনের মধ্যকার সম্পর্ককে ‘কৌশলগত অংশীদারত্ব’ থেকে ‘ব্যাপক কৌশলগত সহযোগিতামূলক অংশীদারত্ব’-এ উন্নীত করাই প্রধানমন্ত্রীর এই সফরের লক্ষ্য।
বুধবার বাংলাদেশ ও চীনের মধ্যে ২০ থেকে ২২টি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) স্বাক্ষর করতে পারে বলে জানানো হয়েছে।
গত রবিবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেন, এ সফরকালে অর্থনৈতিক ও ব্যাংকিং খাতে সহযোগিতা, বাণিজ্য ও বিনিয়োগ, ডিজিটাল অর্থনীতি, অবকাঠামোগত উন্নয়ন, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায় সহায়তা, ষষ্ঠ ও নবম বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সেতু নির্মাণ, বাংলাদেশ থেকে কৃষিপণ্য রফতানি ও দুই দেশের জনগণের মধ্যে যোগাযোগের সমঝোতা স্মারকগুলো সই হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
এর আগে ৮ জুলাই বিনিয়োগ ও বাণিজ্য, আর্থিক সহায়তা সহযোগিতা জোরদারের লক্ষ্য নিয়ে চার দিনের সফরে চীনে পৌঁছান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বেইজিং আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে তাকে লাল গালিচা সংবর্ধনা দেওয়া হয়।
সফরের দ্বিতীয় দিন মঙ্গলবার (৯ জুলাই) সকালে এশিয়ান ইনফ্রাস্ট্রাকচার ইনভেস্টমেন্ট ব্যাংকের প্রেসিডেন্ট জিন লিকুন প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন।
চীন সফরে অর্থমন্ত্রী, প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা, বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী, পররাষ্ট্র সচিব, অন্যান্য সচিবসহ উচ্চ পর্যায়ের সংশ্লিষ্ট সরকারি কর্মকর্তারা প্রধানমন্ত্রীর সফরসঙ্গী হয়েছেন।