টেকনাফ টুডে ডেস্ক:চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) ভর্তি জালিয়াত-চক্রের সঙ্গে জড়িত দুইজন থেকে ৬০ ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীর তালিকা পেয়েছে পুলিশ। যাদের মোটা অঙ্কের টাকার বিনিময়ে পরীক্ষার হলে অত্যাধুনিক ডিভাইসের মাধ্যমে উত্তর সরবরাহ করার কথা ছিল। কিন্তু পুলিশের হাতে অাটক হওয়ার ফলে সেই পরিকল্পনা ভেস্তে গেছে বলে দাবি পুলিশের।
বুধবার (২৫ অক্টোবর) ইংরেজি বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী শরিফুল ইসলাম নাজমুলকে ভর্তি জালিয়াতিতে ব্যবহৃত হওয়া ডিভাইসসহ অাটক করে পুলিশ।
তার তথ্যের ভিত্তিতে পরদিন বৃহস্পতিবার (২৬ অক্টোবর) রাতে অভিযান চালিয়ে চক্রের অন্যতম সদস্য চবি ছাত্রলীগের স্থগিত কমিটির সহ সম্পাদক ইশতিয়াক অাহমদকে অাটক করা হয়। এ সময় তার কাছ থেকেও ঢাবির ভর্তি পরীক্ষায় জালিয়াত চক্রের ব্যবহার করা ডিভাইস জব্দ করে পুলিশ।
তাদের কাছ থেকে যে যন্ত্রপাতিগুলো জব্দ করা হয়েছে তা বেশ অত্যাধুনিক। যেগুলোর সাহায্যে বাইর থেকে পরীক্ষা হলে শিক্ষার্থীকে উত্তর বলে দেওয়া সম্ভব।
পুলিশ জানিয়েছে, ইশতিয়াক ও নাজমুলেরর কাছ থেকে একটি তালিকা তারা পেয়েছে।যেখানে ভর্তিচ্ছু ৬০ শিক্ষার্থীর নামসহ বিস্তারিত তথ্য দেওয়া হয়েছে। যাদের মূূল কাগজপত্র এই চক্রের সদস্যদের কাছে জিম্মি অাছে।
বায়েজিদ বোস্তামি থানার এসঅাই অাবছার উদ্দিন রুবেল বাংলানিউজকে বলেন, ‘জালিয়াত-চক্র শিক্ষার্থীদের মূল কাগজপত্র জব্দ করে রাখত। কারণ যাতে তারা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সুযোগ পাওয়ার পর চুক্তি মোতাবেক টাকা দিয়ে দেয়। ইশতিয়াক ও নাজমুলের কাছে যে তালিকা পেয়েছি সেখানে ৬০ ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীর নাম অাছে। অামরা যেগুলো অাদালতে জমা দিয়েছি।’
তিনি বলেন, এই চক্রের নেটওয়ার্ক অনেক বড়। তাদের সঙ্গে বিভিন্ন ভর্তি পরীক্ষাসহ অন্যান্য প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় জালিয়াত-চক্রের সম্পৃক্ততা রয়েছে।
অভিযোগ রয়েছে, ইশতিয়াক অাহমদ চবি ছাত্রলীগের নেতার অাড়ালে এ ধরনের কর্মকাণ্ডে জড়িত ছিলেন। তিনি কয়েক বছর ধরে এ কাজ করে অাসছিলেন।