নিজস্ব প্রতিবেদক : চকরিয়া বায়তুশ শরফ মসজিদের পাশে নির্মিত হচ্ছে শাহ আখতার জব্বারিয়া হাফেজখানার নির্মানাধীন একাডেমিক ভবন। বায়তুশ শরফ কমপ্লেক্সের অর্থায়নে দ্বীনি শিক্ষার মহান ব্রত নিয়ে প্রতিষ্ঠানটি গড়ে তোলা হচ্ছে। ইতোমধ্যে নতুন একাডেমিক ভবনের নির্মাণকাজ দ্রæত এগিয়ে চলছে। শুক্রবার জুমার নামাজ শেষে কক্সবাজার-১ (চকরিয়া-পেকুয়া) আসনের সংসদ সদস্য ও চকরিয়া উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি আলহাজ জাফর আলম নির্মাণাধীন বায়তুশ শরফ শাহ আখতার জব্বারিয়া হাফেজখানার একাডেমিক ভবন নির্মাণকাজ পরিদর্শন করেছেন।
পরিদর্শনকালে সমবেত মুসল্লী, মসজিদ কমিটি এবং স্থানীয় সুধীজনের উপস্থিতিতে এমপি জাফর আলম বলেছেন, নির্মিতব্য বায়তুশ শরফ শাহ আখতার জব্বারিয়া হাফেজখানার একাডেমিক ভবনের মাটি ভরাট তিনি ব্যক্তিগত তরফথেকে করে দেবেন। ওইসময় বায়তুশ শরফ মসজিদের খতিব, মসজিদ কমিটির নেতা আলহাজ ছালেহ আহমদ সওদাগর, মুফিজুর রহমান সওদাগর, চকরিয়া পৌরসভার স্থানীয় ৮নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মুজিবুল হক মুজিব, মসজিদ কমিটির আমিনুল হক, চকরিয়া উপজেলা শ্রমিকলীগের সভাপতি জামাল উদ্দিন ছাড়াও মসজিদ কমিটির নেতৃবৃন্দ, সমবেত মুসল্লী এবং এলাকাবাসি উপস্থিত ছিলেন।
পরিদর্শনকালে এমপি জাফর আলম বলেছেন, অতীতের যে কোন সরকারের তুলনায় জননেত্রী শেখ হাসিনার সুদক্ষ নেতৃত্বে আওয়ামীলীগ সরকার ইসলাম ধর্মের মর্যাদা অক্ষুন্ন রাখতে নিরলশভাবে কাজ করছেন। সরকার ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে আলেম-ওলামাদের অধিকার নিশ্চিতের পাশাপাশি ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের মান্নোয়নে কাজ করে যাচ্ছেন। তিনি বলেন, দেশ স্বাধীন হওয়ার পর প্রথম জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান পবিত্র ইসলাম ধর্মের মর্যাদা বিকশিত করতে ও এ দেশের আলেম-ওলামাদের অধিকার নিশ্চিত কল্পে ইসলামিক ফাউন্ডেশন প্রবর্তন করেন। তারই ধারাবাহিতকার অংশ হিসেবে জাতির পিতার সুযোগ্য উত্তরসুরী বর্তমান প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ম শেখ হাসিনা সরকারের আমলেও পবিত্র ইসলাম ধর্মের মর্যাদা অক্ষুন্ন রাখতে এবং আলেম-ওলামাদের অধিকার প্রতিষ্ঠায় কাজ করছেন। সেই আলোকে আগামীতে কোরআন প্রেমি জনগনের অধিকার ও মর্যাদা সমুন্নত রাখতে উন্নয়নের ধারা অব্যাহত থাকবে চকরিয়া-পেকুয়া উপজেলার প্রতিটি মসজিদ মাদরাসায়।
তিনি বলেন, বিগদগামী কিছু মানুষের অনৈতিক কাজের কারনে এদেশের আলেম-ওলামারা ভুলক্রমে নানাভাবে অবহেলিত এবং বঞ্চনার শিকার হচ্ছে। কিন্তু সরকার ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে প্রকৃত আলেম-ওলামাদের পরিচয় নিশ্চিত করে তাদের মর্যাদা রক্ষা করছেন। আমাদেরকে সজাগ থাকতে হবে যাতে ধর্মের দোয়াই দিয়ে কেউ বিপদগামী হতে না পারে। সেই ক্ষেত্রে আলেম-ওলামাদেরকে বলিষ্ট ভুমিকা পালন করতে হবে। পবিত্র ইসলাম ধর্ম হচ্ছে শান্তির ধর্ম। ইসলাম ধর্মের কোন ধরণের সংঘাতের স্থান নেই। ইসলাম ধর্ম আমাদেরকে যুগে যুগে শিক্ষা দিয়েছে শান্তিপুর্ণভাবে কিভাবে সমাজ ও দেশ চলবে।##