চকরিয়া থানা পুলিশের সহায়তায় ভুল বিকাশ নাম্বারে চলে যাওয়া টাকা ফেরত পেল গৃহবধু

: নুরুল করিম রাসেল
প্রকাশ: ৫ years ago

এম.জিয়াবুল হক : চকরিয়া উপজেলার হারবাং ইউনিয়নের উত্তর হারবাং বান্ডারীডেপা নামক এলাকার আব্দুর রহিমের স্ত্রী গৃহবধূ শাহানা বেগম স্বামীর প্রয়োজনে শনিবার ২১ ডিসেম্বর সকালে চকরিয়া শহরে এসে স্বর্ণের দোকানে গলার চেইন বন্ধক দিয়ে ৯ হাজার টাকা নেন। পরে ওই টাকা বিকাশ এজেন্ট রহমান নামের একটি দোকানে গিয়ে স্বামীর কাছে টাকা পাঠাতে গিয়ে ভুল নাম্বারে চলে যায়। ওইসময় চলে যাওয়া নাম্বারের ফোন মালিককে বিকাশ দোকানদারসহ একাধিক ব্যক্তি অনুরোধ করলেও টাকাগুলো ফেরত দেইনি। ঘটনাটি গৃহবধূ শাহানা বেগম তাঁর স্বামীকে জানালে উল্টো স্ত্রীর উপর ক্ষিপ্ত হয়ে উঠেন স্বামী।
একদিকে স্বামীর স্বামীর বকুনি আর চলে যাওয়া টাকা ফেরত নিয়ে গৃহবধু শাহানা একপ্রকার হতাশাগ্রস্থ হয়ে পড়েন। এ অবস্থায় সর্বশেষে তিনি শরণাপন্ন হন চকরিয়া থানার ওসির কাছে। পরবর্তীতে থানার ওসি মো.হাবিবুর রহমানের নির্দেশে ডিউটি অফিসার এএস আই কামালের তড়িৎ হস্তক্ষেপে ভুল বিকাশ নাম্বারে চলে যাওয়া ওই টাকা ফেরত আনতে সক্ষম হন শাহানা।
শনিবার রাত সাতটার দিকে চকরিয়া থানার অপারেশন অফিসার এসআই রুহুল আমিন ও ডিউটি অফিসার এএস আই কামাল ফেরত আনা বিকাশের ওই টাকা গৃহবধূ শাহনা বেগমের হাতে তুলে দেন।
চকরিয়া থানার ডিউটি অফিসার এএসআই কামাল জানান, বিকাশে নাম্বারের ব্যক্তি টাকা গুলো ফেরত দেওয়ার ইচ্ছা থাকলেও একাধিক ব্যক্তি ওই নাম্বারে ফোন দেয়ার কারনে উল্টে তিনি রাগান্বিত হন। অবশ্য থানা পুলিশের পক্ষথেকে বিকাশ নাম্বারধারী ওই ব্যক্তির সঙ্গে যোগাযোগ করা মাত্র তিনি টাকা গুলো ফেরত দিতে সম্মত হন। পরে আমার দেয়া একটি বিকাশ নাম্বারে তিনি টাকা গুলো ফেরত দেন।
চকরিয়া থানায় উপস্থিত গৃহবধূ শাহানা বেগম বলেন, ভুল বিকাশ নাম্বারে টাকা চলে যাওয়ায় স্বামী আমাকে ভুল বুঝেছে। এখন টাকাগুলো ফেরত পেয়েছি। বন্ধক দেওয়া স্বর্ণের চেইনটি নিয়ে বাড়ি ফিরে যাবো। এরপর টাকা ফেরত পাওয়ার ঘটনা স্বামীকে জানাবো। ##