নিজস্ব প্রতিবেদক : চকরিয়া উপজেলার ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়নের রাজারবিল ডেইলপাড়া এলাকায় হামলার ঘটনায় ভুক্তভোগী পরিবারের হাজী নুরুচ ছমদের পুত্র ফরিদুল আলম (৫০) বাদী হয়ে হামলাকারী পক্ষের বিরুদ্ধে থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেন। এতে অভিযুক্ত করা হয় আপন সহোদর বেলাল উদ্দিন, স্ত্রী বুলবুল আক্তার ও নুরুল আবছার ও নুরুল আজিমসহ অজ্ঞাতনামা ১০/১২জনকে।
অভিযোগে জানাগেছে, বাদী ও বিবাদী পক্ষের পারিবারিক জমি-জমা নিয়ে বিরোধ সৃষ্টি হলে স্থানীয়ভাবে আপোষ মিমাংসার মাধ্যমে সরসে-নিরসে জমি ভাগ-বন্ঠন করে স্ব স্ব বসতবাড়ি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে শান্তিপূর্নভাবে বসবাস করে আসছেন। কিন্তু সম্প্রতি বিবাদী পক্ষ নানাভাবে বাদী পক্ষের জমি জবর দখলে মেতে উঠে এবং মিথ্যা মামলা দেয়ার হুমকি ধমকি দিতে থাকে।
বাদী ও বিবাদী পক্ষের বিরুদ্ধে একটি মামলায় ১নং বিবাদী বেলাল উদ্দিন আদালতে নিয়মিত হাজিরা না থাকার কারণে গ্রেফতারী পরোয়ানা জারি হয় এবং ওই পরোয়ানা নিয়ে চলতি ৫নভেম্বর চকরিয়া থানা পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করেন।
কিন্তু বাদী নিজেও আসামী হয়ে তার সহযোগিতায় বিবাদী বেলালকে গ্রেফতার করেছেন সন্ধেহে ভূক্তভোগী ফরিদুল আলমের বসতঘরে গত ৬ নভেম্বর বিকাল ৩টার দিকে হামলা ও ভাংচুর চালিয়েছে। এসময় চলাচল পথে টেংরা,ঝলি-বেড়া দিয়ে বন্ধ করে দেয়। এমনকি জ¦ালিয়তির মাধ্যমে স্ট্যাম্পে দলিল সৃজন করে জমি জবর দখলে নেয়াসহ প্রাণনাশের হুমকি দেন বলে অভিযোগ করেন ভূক্তভোগী পরিবার। এনিয়ে প্রশাসনের কাছে আইনী সহায়তা চেয়েছেন।
চকরিয়া থানার ওসি শাকের মোহাম্মদ যুবায়ের বলেন, ঘটনার বিষয়ে একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছেন। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। সত্যতা পাওয়া গেলে ভূক্তভোগী পরিবারকে আইনী সহায়তা দেয়া হবে।##
