১৭ই জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
সংস্করণ:
এম.জিয়াবুল হক,চকরিয়া : চকরিয়া উপজেলার ডেমুশিয়া ইউনিয়নে বাড়ি ফেরারপথে দুই লবণ ব্যবসায়ীকে পিটিয়ে আড়াই লাখ টাকা লুটে নিয়েছে দুর্বৃত্তরা। মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে ডেমুশিয়া ইউনিয়নের হেতালিয়া পাড়া ড্রেনের মাথা নামক সড়কে ঘটেছে এ ছিনতাইয়ের ঘটনা। এ ঘটনায় আহত দুই ব্যবসায়ীর মধ্যে একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাকে চট্রগ্রাম মেডিক্যাল হাসপাতালে প্রেরন করেছে চকরিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্তব্যরত চিকিৎসক।
আহতদের স্বজনরা জানান, মঙ্গলবার রাত ৯টারদিকে উপজেলার ডেমুশিয়া বাজার থেকে বাড়ি যাচ্ছিল ইউনিয়নের গান্ধীপাড়ার ওবায়দুল হকের ছেলে লবণ ব্যবসায়ী মাঈনুদ্দিন (২৫) ও ছয় কুড়িটিক্কা এলাকার মো. শোয়াইবের ছেলে সাঈদ হোসাইন (২৮)।
মুলত তারা মোটা অংকের টাকা নিয়ে বাড়ি যাচ্ছে এ ধরণের খবর পেয়ে পথে পূর্ব থেকে উৎপেতে থাকে একটি সংঘবদ্ধ দুর্বৃত্তদল। পরে তাঁরা ইউনিয়নের হেতালিয়া পাড়া ড্রেনের মাথা নামক সড়কে পৌঁছলে পরিকল্পনা মতে গতিরোধ করে দুর্বৃত্তরা লবণ ব্যবসায়ী সাঈদ হোসাইনকে পিটিয়ে তাঁর কাছ থেকে নগদ দুই লক্ষ টাকা ও মাঈনুদ্দিনের কাছ থেকে নগদ বিশ হাজার টাকাসহ দামী মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেয়। ঘটনার সময় তাদের শোর চিৎকার শুনে আসেপাশের লোকজন এগিয়ে আসতে দেখে পালিয়ে যান দুর্বৃত্তরা। পরে আহত দু’জনকে উদ্ধার করে স্থানীয়রা চকরিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান।
আহতদের স্বজনরা আরো জানান, মাথায় গুরুতর আহত হওয়ায় আহত মাঈনুদ্দিন’কে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন চকরিয়া হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক।
আহত সাঈদ হোসাইন জানান, হামলা ও টাকা লুটের ঘটনায় নেতৃত্ব দেন স্থানীয় গান্ধী পাড়ার দিল মোহাম্মদের ছেলে মোঃ শহিদ (২৮), একই এলাকার করিম দাদের ছেলে হুমাইয়ুন কবির (৩৫) ও দিল মোহাম্মদের ছেলে মোঃ রুকন (২৫)। তাদের সঙ্গে আরো আরো ৬-৭ জন অংশনেন।
ডেমুশিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নুরুল আলম জিকু জানায়, ঘটনার ব্যাপারে আমি শুনেছি। তবে জরুরী কাজে শহরে আছি। সেকারনে বিস্তারিত ঘটনা এলাকায় ফিরে জানাতে পারবো।
চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ হাবিবুর রহমান বলেন, হামলা চালিয়ে টাকা লুটের এ ধরণের ঘটনার বিষয়ে এখনো কেউ অভিযোগ দেয়নি। তবে লিখিত অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ##
