চকরিয়ায় পাহাড় ধসে ঘুমন্ত স্বামী-স্ত্রী নিহত : স্রোেতে ভেসে গেছে যুবক

: নুরুল করিম রাসেল
প্রকাশ: ৫ years ago

এম.জিয়াবুল হক : চকরিয়ায় পাহাড় ধসে স্বামী-স্ত্রী নিহত হয়েছেন। শনিবার দিবাগত রাত আনুমানিক ২টার দিকে চকরিয়া উপজেলার বমুবিলছড়ি ইউনিয়নের বমুরকুল এলাকায় এ ঘটনা ঘটেছে।
নিহতরা হলেন বমুবিলছড়ি ইউনিয়নের বমুরকুল এলাকার মোহাম্মদ ছাদেক (৩২) ও তার স্ত্রী ওয়ালিদা বেগম (২১)। ছাদেক পেশায় একজন দিনমজুর। তারা কয়েক বছর আগে উপজেলা আলীকদম থেকে এসে বমুবিলছড়ির পাহাড়ে বসতি করা শুরু করেন।
অপরদিকে চকরিয়া উপজেলার মাতামুহুরী নদীতে উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলের পানির প্রবল স্রোতে পড়ে রাস্তা দিয়ে পারাপারের সময় মোহাম্মদ রাজু (২৬) নামের এক যুবক নিখোঁজ হয়েছে। গতকাল রোববার সকাল সাড়ে দশটার দিকে উপজেলার পূর্ব বড় ভেওলা ইউনিয়নস্থ জকরিয়া সড়কের আটারকুম নামক এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নিখোঁজ যুবক উপজেলার বিএমচর ইউনিয়নের ৭নম্বর ওয়ার্ডের দিয়ারচর এলাকার মো.জামাল উদ্দিনের ছেলে।
বমুবিলছড়ি ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি ও কক্সবাজার জেলা পরিষদের সদস্য অধ্যাপক সোলতান আহমদ বলেন, গত কয়েকদিন ধরে টানা বৃষ্টি হচ্ছে। গত রাতেও প্রচুর বৃষ্টি হয়েছে। এতে পাহাড়ের মাটি নরম হয়ে যায়। শনিবার দিবাগত রাত ২টার দিকে তাদের ঘরের সাথে লাগোয়া একটি পাহাড় বসতঘরের উপর পড়ে। এতে ঘুমন্ত অবস্থায় স্বামী-স্ত্রী মারা যায়।
স্থানীয় বমুবিলছড়ি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবদুল মোতালেব বলেন, রাতে পাহাড় ধসের শব্দ শুনে প্রতিবেশি লোকজন ঘর থেকে বের হয়ে দেখেন ছাদেকের বসত ঘরের উপর পাহাড় ধসে পড়েছে। পরে স্থানীয় লোকজনের সহায়তায় তাদের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। ঘটনার সময় বসতঘরে এসময় ওই ঘরে স্বামী-স্ত্রী কেউ ছিলোনা।
চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নূরুদ্দীন মুহাম্মদ শিবলী নোমান বলেন, স্থানীয় লোকজনের সহায়তায় রাতেই তাদেও লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। পাহাড়ি ঢলের কারণে একধরনের বিচ্ছিন্ন ওই ইউনিয়নটি।
তিনি বলেন, বৃষ্টি শুরু হওয়ার আগে থেকে পাহাড়ি এলাকায় বসবাসরতদের সরে আসতে একাধিকবার অনুরোধ করা হয়েছিলো। কিন্তু ওই প্রশাসনের কথা শুনেনি। পাহাড়ে ঝুঁকিপূর্ণ বসবাসকারিদের সরিয়ে আনার কাজ চলছে।
অপরদিকে ঢলের পানির স্রোতে যুবক নিখোঁজের বিষয়টি সত্যতা নিশ্চিত করেছেন চকরিয়া উপজেলার বিএমচর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এস এম জাহাঙ্গীর আলম। তিনি বলেন, ভারী বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলের পানিতে পুরো এলাকা প্লাবিত হয়ে যায়। রোববার সকালে জকরিয়া সড়কের আটারকুম এলাকা দিয়ে গলা পরিমাণ পানি পাড়ি দেন রাজু নামের ওই যুবক।
প্রতিমধ্যে কিছুদূর রাস্তা পাড়ি দেয়ার পথে পানির প্রবল স্রোতের মধ্যে সে তলিয়ে যায়। এ সময় স্থানীয় ২০-৩০ জন লোক তাৎক্ষনিক ভাবে ঝাঁপদিয়ে নিখোঁজ যুবককে খুঁজতে থাকেন। দুই ঘন্টার অধিক সময় পানিতে খুঁজাখুঁজি করার পরও নিখোঁজ যুবককে উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি।#