চকরিয়ায় জিন্মিদশায় বসত-ঘরে হামলা-ভাংচুর গাছ কেটে সাবাড় : লুটপাটর অভিযোগে মামলা

: হুমায়ুন রশিদ
প্রকাশ: ২ years ago

নিজস্ব প্রতিবেদক : চকরিয়া উপজেলার কোনাখালী ইউনিয়নে জিন্মিদশায় আটকে রেখে দিনদুপুরে নিরীহ পরিবারের বসতবাড়িতে হামলা-ভাংচুরের ঘটনা ঘটেছে। ওইসময় বাড়িভিটার রকমারি গাছ কেটে সাবাড় করে সেখানে ধান রোপন করে দিয়েছে হামলাকারীরা। ঘটনার সময় বাঁধা দিতে গেলে অর্ন্তস্বত্তা নারীসহ তিনজনকে পিটিয়ে জখম করা হয়েছে। এ ঘটনায় আক্রান্ত পরিবারের গৃহকর্তার ছেলে আবদুল­াহ আল মনছুর বাদি হয়ে পহেলা আগস্ট চকরিয়া উপজেলা সিনিয়র জুড়িসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে ৯জনকে আসামি করে একটি মামলা রুজু করেছেন।
মামলার এজাহারনামীয় বিবাদিরা হলেন কোনাখালী ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের লতাবনিয়া গ্রামের মফিজুর রহমানের ছেলে বেলাল উদ্দিন, নুরুল হোছাইনের ছেলে আবদুল করিম, মোহাম্মদ সাচির ছেলে আমির হোছাইন, নুরুল হোছাইন, মরংঘোনার আলমের ছেলে আরিফ, পুর্ব কোনাখালী সিকদারপাড়ার বশির আহমদের ছেলে ইউনুছ, জাহাংগীরের ছেলে সম্রাট, ফজর আলীর ছেলে আবদু ছাত্তার, বিএমচর ইউনিয়নের বেতুয়া পাহাড়িয়াপাড়ার নুরুল আলমের ছেলে হেলাল উদ্দিন।
বাদি আবদুল­াহ আল মনছুর মামলার এজাহারে বলেন, কোনাখালী মৌজার বিএস ৭৪ নং খতিয়ানের তুলনামুলক জমাভাগ ১৫৭১ খতিয়ানের বিএস ১৩৩৯ দাগের ৩ দশমিক ১২ একর (৮ কানি) তাঁর পিতা আমির হোছনের ওয়ারিশীসুত্রে ও হেবামুলে প্রাপ্ত সম্পত্তি। সেখানে দীর্ঘবছর আগে বসতবাড়ি নির্মাণ করে পরিবার নিয়ে ভোগদখলে রয়েছেন। পাশাপাশি বাড়িভিটা জুড়ে বিভিন্ন রকমের ফলজ গাছ রোপন ও অবশিষ্ঠ জমিতে চাষাবাদ করে আসছে তাঁর পরিবার।
গৃহকর্তার ছেলে বাদি এজাহারে দাবি করেন, পরিবার নিয়ে উলে­খিত ওয়ারিশী সম্পত্তিতে তাঁরা শান্তিতে বসবাস করে আসলেও অভিযুক্তরা স¤প্রতিসময়ে সেখানে দখল চেষ্ঠা চালিয়ে আসছে। যদিও সম্পত্তির অংশিদার হিসেবে কোনধরণের বৈধ কাগজপত্র নেই তাদের। এরপরও তারা নানাভাবে হুমকি ধমকি দিয়ে দখল চেষ্ঠায় লিপ্ত থাকায় জড়িতদের বিরুদ্ধে ১৪৪ ধারার আবেদন জানিয়ে ভুক্তভোগী আবদুল­াহ আল মনছুরের পিতা আমির হোছন বাদি হয়ে গত ২৭ জুলাই অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট আদালত কক্সবাজারে একটি অপর মামলা (নং ১৩৪৫) রুজু করেন।
বাদির অভিযোগ আমলে নিয়ে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতের বিচারক মো.আবু সুফিয়ান উলে­খিত সম্পত্তির বিষয়ে তদন্তপুর্বক প্রতিবেদন দিতে চকরিয়ার এসিল্যান্ড ও আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে চকরিয়া থানার ওসিকে নির্দেশ দেন। এরই প্রেক্ষিতে পুলিশের পক্ষথেকে নোটিশ দিয়ে দুইপক্ষকে থানায় আসতে বলেন।
আবদুল­াহ আল মনছুর অভিযোগ করে বলেন, নোটিশের প্রেক্ষিতে ৩১ জুলাই তাঁর পরিবার চকরিয়া থানায় আসলে এ সুযোগে অভিযুক্তরা দলবদ্ধ হয়ে তার (বাদির) বাড়িতে ঢুকে হামলা ও ভাংচুর চালায়। এসময় তাঁরা বসতভিটার রকমারি ফলজ গাছ কেটে সাবাড় করে দিয়ে চাষের জমিতে জোরপুর্বক ধান রোপন করেছে।
ওইসময় বাড়িতে থাকা আমার ছোট ভাই নুরুল আজিম (২৮) ও আমার অর্ন্তস্বত্তা স্ত্রী ইয়াসমিন জন্নাত (২০) বাঁধা দিতে গেলে তাদেরকে মারধর করে হামলাকারীরা। ঘটনার সময় হামলাকারীরা আমার আটমাসের অর্ন্তস্বত্তা স্ত্রীর তলপেটে মারাত্বকভাবে জখম করে। পরে তাঁরা আমার স্ত্রীর গলায় পরিহিত ৩৫ হাজার টাকা দামের একটি স্বর্ণের চেইন লুটে নিয়ে। গাছ কেটে সাবাড় ও বাড়িতে ভাংচুর চালিয়ে মোট ৪০ হাজার টাকার ক্ষতিসাধন করে। ঘটনার পর পুলিশের জরুরী সেবা ৯৯৯ তে ফোন করলে মাতামুহুরী তদন্ত কেন্দ্রের পুলিশ সদস্যরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে গুরুতর অবস্থায় আমার স্ত্রী ও ছোট ভাইকে উদ্ধার করে চকরিয়া সরকারি হাসপাতালে ভর্তি করার ব্যবস্থা নেন। ##