এম.জিয়াবুল হক,চকরিয়া : চকরিয়া উপজেলার খুটাখালী ইউনিয়নে একই দাগে জায়গা কিনেছেন দুইজন। আগে কিনে সেখানে বসতঘর তৈরী করে পরিবার নিয়ে বসবাস শুরু করেছেন ছরওয়ার আলম। কিন্তু অপর ক্রেতা জাফর আহমদ সেই জায়গা দখল করতে শুরু করে নানা অপচেষ্ঠা। সর্বশেষ শুক্রবার সকালে শতাধিক ভাড়াটে লোক নিয়ে হামলা চালায় ছরওয়ার আলমের বসতঘরে। ওইসময় মাত্র ত্রিশ মিনিটের মধ্যে ভাংচুর চালিয়ে ধূলিসাৎ করে দেয়া হয়েছে বসতঘরটি।
এসময় লুট করা হয়েছে নগদ ৮০ হাজার টাকা, সাড়ে চার ভরি স্বর্ণালঙ্কার ও প্রায় ৭০ হাজার টাকার আসবাবপত্র। এ ঘটনায় প্রায় ৫লাখ টাকার ক্ষতিসাধন হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগী গৃহকর্তা। ঘটনার পর পরিবারের লোকজন এগিয়ে এসে আহত গৃহকর্তা ছরওয়ার আলম (৩৮), তাঁর স্ত্রী সারজিনা ছরওয়ার (২৮) ও আটমাস বয়সের শিুশু ছেলে আবরার ছরওয়ারকে উদ্ধার করে চকরিয়া উপজেলা হাসপাতালে ভর্তি করেছে। আহত ছওয়ার আলম খুটাখালী ইউনিয়নের ফুলছড়িস্থ মাদরাসা পাড়া গ্রামের মৃত হাজী আনোয়ার আলীর ছেলে।
গতকাল শনিবার রাতে আহত গৃহকর্তা ছরওয়ার আলম জানান, ২০০৩ সালে তিনি একই এলাকার মাহফুজা বেগম ও শবে মেহেরাজ নামের দুই নারীর কাছ থেকে পৈত্রিকভাবে প্রাপ্ত ১৬ শতক জায়গা দলিল সম্পাদনের মাধ্যমে রেজিষ্ট্রিমুলে ক্রয় করেন। পরে ওই জায়গার বিপরীতে তাঁর নামে (ছরওয়ার আলম) খতিয়ানও সৃজন হয়েছে। এরপর তিনি বসতঘর তৈরী করে পরিবারও নিয়ে বসবাসও করে আসছেন।
ছরওয়ার আলম জানান, তিনি কেনার প্রায় সাতবছর পর ২০১০ সালে একই দাগ থেকে জায়গা ক্রয় করেন প্রতিবেশি মৃত ইউছুপ আলীর ছেলে জাফর আহমদ। সেই থেকে অভিযুক্ত জাফর আহমদ আমার জায়গাটি জবরদখলের জন্য নানাভাবে অপচেষ্টা চালিয়ে আসছে। প্রথমে আমার কাছ থেকে মোটা অঙ্কের চাঁদা দাবি করে। পরে বলে, টাকা না দিলে জায়গা ছেঁেড় দিতে হবে। তাঁর কথা মতো জায়গা ছেঁেড় না দেয়ায় সর্বশেষ গত শুক্রবার সকাল আনুমানিক সাড়ে আটটার দিকে অভিযুক্ত জাফর আহমদ অন্তত শতাধিক ভাড়াটে লোক নিয়ে আমার বসতঘরে হামলা চালায়।
গৃহকর্তা ছরওয়ার আলম জানান, হামলার সময় বাঁধা দিতে গেলে আমাকে ও আমার স্ত্রীকে পিটিয়ে গুরুতর জখম করে হামলাকারীরা। এসময় আমার আটমাস বয়সের শিশু ছেলেকেও আঘাত করে দুর্বৃত্তরা। ঘটনার এক পর্যায়ে দুর্বৃত্তরা মাত্র ত্রিশ মিনিটের মধ্যে ভাংচুর চালিয়ে আমার বসতঘরটি ধূলিসাৎ করে দেয়। এসময় ঘরের আলমিরা ভেঙ্গে লুট করে নিয়ে গেছে নগদ ৮০ হাজার টাকা, সাড়ে চার ভরি স্বর্ণালঙ্কার ও প্রায় ৭০ হাজার টাকার আসবাবপত্র। এ ঘটনায় আমার প্রায় ৫লাখ টাকার ক্ষতিসাধন হয়েছে। ঘটনার ব্যাপারে চকরিয়া থানায় মামলার প্রস্ততি চলছে বলে জানিয়েছেন পরিবারটির গৃহকর্তা। #
