এম.জিয়াবুল হক : চকরিয়া উপজেলার আলোচিত কাকঁড়া ব্যবসায়ী আবদুল হামিদ হত্যা মামলার প্রধান আসামি আবদুস সালাম ও তার সহযোগি এমরানকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তাদের গ্রেফতারের মধ্যদিয়ে আলোচিত এ হত্যাকান্ডের জট খুলতে শুরু করেছে বলে দাবি করেছেন পুলিশ। গ্রেফতারের পর মঙ্গলবার উপজেলা সিনিয়র জুড়িশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে তাদের বিরুদ্ধে রিমান্ডের আবেদন করেন মামলার তদন্তকার কর্মকর্তা। শুনানী শেষে গতকাল আদালত দু’দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
এদিকে গতকাল বুধবার বিকাল তিনটার দিকে চকরিয়া উপজেলা জুড়িশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতের সামনে খুনিদের ফাঁসির দাবীতে বিক্ষোভ ও মানববন্ধন করেছে এলাকাবাসি। মানববন্ধনে খুনিদের ফাঁসি ও বাকি আসামিদে গ্রেফতারের দাবী জানানো হয়।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও চকরিয়া থানার এসআই আতিকুর রহমান বলেন, গত ১৬ জুলাই আবদুস সালাম তার সহযোগি মো: এমরানকে চকরিয়া উপজেলা জুড়িশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে হাজির করা হলে হাকিম দু’দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। রিমান্ডে তাদের কাছ থেকে অনেক গুরুত্বপূর্ন তথ্য পাওয়া গেছে। তদন্তের স্বার্থে এসব তথ্য গোপন রাখা হচ্ছে।
গত ১৩ জুন আবদুল হামিদকে হত্যা করে সন্ত্রাসীরা। এঘটনায় তার ভাই আবদুল আজিজ সালাম বাহিনীর প্রধান আবদুস সালামসহ ১০-১২জনের বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। এরপর খুনিদের গ্রেফতারে বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালানো হয়।
তিনি বলেন, গত ৪ জুন আবদুস সালাম ও তার সহযোগি মো: এমরানকে চন্দ্বনাইশ উপজেলার একটি ভাড়া বাসা থেকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারের পর আসামিদের স্বীকারোক্তিমতে চিরিঙ্গা ইউনিয়নের চরণদ্বীপ থেকে দেশীয় তৈরী দুটি এক নলা বন্দুক ও ৪টি তাজা কার্তুজ উদ্ধার করা হয়।
মামলার বাদি আবদুল আজিজ বলেন, তার ভাই আবদুল হামিদ মাছ ও কাকড়া বিক্রি করে জীবিকা নির্বাহ করতো। ঘটনার দিন সকাল সাড়ে দশটায় চিরিঙ্গা ইউনিয়নের চরণদ্বীপ এলাকায় একটি চায়ের দোকানে নাস্তা করতে যায়। নাস্তা করে ফেরার পথে চরণদ্বীপের সালাম বাহিনীর প্রধান আবদুস সালামের নেতৃত্বে ১০-১২জন সন্ত্রাসী আবদুল হামিদকে এলোপাতাড়ি গুলি করে। একপর্যায়ে খুনিরা কুপিয়ে তার ভাইকে মৃত্যু নিশ্চিত করে পালিয়ে যায়।
তিনি আরও বলেন, তার ভাইকে হত্যার পর আসামিরা আরও বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। তারা মামলা তুলে নিতে হুমকি ধমকি দিচ্ছেন। বিভিন্ন অপরাধে সালামের বিরুদ্ধে ১৬টি এবং এমরানের ৬টি মামলা রয়েছে। আসামিদের হুমকি ধমকিতে তার পরিবার চরম নিরাপত্তাহীনতায় রয়েছে। খুনিদের দুইজন গ্রেফতার হলেও এখনো ৮-৯জন আসামি বাইরে রয়েছে। তাদেরকে দ্রুত গ্রেফতারের দাবী জানান তিনি।
চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো.হাবিবুর রহমান বলেন, আবদুল হামিদ হত্যাকান্ডে জড়িত দুই আসামিকে গ্রেফতরা করা হয়েছে। তাদের স্বীকারোক্তী মতে দুটি একনলা বন্দুক ও গুলি উদ্ধার করা হয়েছে। বাকি আসামিদের গ্রেফতারে চেষ্ঠা চলছে। ##