চকরিয়ায় অবশেষে হত্যা মামলার আসামি তালিকাভুক্ত কিলার জমির উদ্দিন গ্রেফতার

লেখক: নুরুল করিম রাসেল
প্রকাশ: ৭ years ago

এম.জিয়াবুল হক, চকরিয়া :
চকরিয়া থানা পুলিশের একটিদল বোরকা পড়ে সফল অভিযান চালিয়ে অবশেষে হত্যা মামলার এজাহারনামীয় আসামি শীর্ষ কিলার জমির উদ্দিনকে (৩৮) গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়েছেন। থানার ওসি বখতিয়ার উদ্দিন চৌধুরীর দেয়া খবরের ভিত্তিতে দীর্ঘদিন পর সোমবার রাতে মাতামুহুরী পুলিশ ফাঁিড়র এসআই মং থোয়াই’র নেতৃত্বে পুলিশদল উপজেলার বিএমচর ইউনিয়নের বাজারপাড়া স্টেশন থেকে তাকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়েছেন।
এদিকে ত্রাস হিসেবে পরিচিত এ শীর্ষ কিলারকে গ্রেপ্তারের খবর এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলছেন সাধারণ মানুষ। নানাভাবে নির্যাতনের শিকার অনেক পরিবার আনন্দে মিষ্টি বিতরণও করেছে। গ্রেফতারকৃত জমির উদ্দিন স্থানীয় বাজার পাড়ার মোহাম্মদ কবির প্রকাশ কবির আহমদের ছেলে।
এলাকাবাসী জানিয়েছেন, ছোট বেলা থেকেই সন্ত্রাসীদের সঙ্গে বেড়ে উঠেন জমির। এরপর থেকে সে বখে যায়। একের পর এক চাঞ্চল্যকর ঘটনার নেতৃত্ব দেওয়া শুরু করে সে। হাসতে হাসতে ধারালো অস্ত্র দিয়ে পশুর মতো জবাই এবং পাখির মতো গুলি করে মানুষ খুনে খুব পারদর্শী দুর্ধর্ষ এই সন্ত্রাসী। গ্রেপ্তারের আগ পর্যন্ত এলাকার মানুষ তটস্থ ছিল তার অত্যাচার-নির্যাতনের ভয়ে। জনমানবশূন্য হয়ে পড়তো কিলার জমির যেই পথ দিয়ে হাঁটতেন।
এলাকাবাসির অভিযোগ, তার বিরুদ্ধে হত্যা, ধর্ষণ, পুলিশ এসল্ট, সন্ত্রাসী কার্যকলাপ, মানুষের জায়গা দখলে নেতৃত্ব দেওয়ার অহরহ অভিযোগ রয়েছে।
স্থানীয় একাধিক ব্যক্তি দাবি করেছেন, জমির একজন পেশাদার খুনি এবং সন্ত্রাসী। তার নিয়ন্ত্রণে রয়েছে একটি বাহিনী এবং বিপুল পরিমাণ আগ্নেয়াস্ত্রের মজুদ। এসব অস্ত্র উদ্ধার না করলে সে জামিনে বেরিয়ে এসে নতুন করে সন্ত্রাসী কর্মকা-ে জড়াবে।
অভিযানে নেতৃত্ব দেয়া মাতামুহুরী পুলিশ ফাঁিড়র এসআই মং থোয়াই বলেন, গ্রেপ্তারের পর পুলিশের অপরাধ খতিয়ান খুঁজতে গিয়ে কিলার জমিরের বিরুদ্ধে অন্তত দেড় ডজনের বেশি মামলার তথ্য বেরিয়ে এসেছে। তারমধ্যে বেশ কয়েকটি মামলায় আদালতের গ্রেপ্তারী পরোয়ানা জারি রয়েছে। সর্বশেষ ২০০৮ সালে উপজেলার কৈয়ারবিল ইউনিয়নে দিনদুপুরে মনজুর আলম নামের একব্যক্তিকে ি কুপিয়ে হত্যা করে জমির ও তার সহযোগীরা। ওই মামলার প্রধান আসামি জমির। ইতোমধ্যে বর্তমানে হত্যা মামলার অভিযোগপত্র আদালতে দাখিল করেছে।
চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. বখতিয়ার উদ্দিন চৌধুরী বলেন, গ্রেফতারকৃত কিলার জমিরের বিরুদ্ধে হত্যাসহ অন্তত ১৮টি মামলা রয়েছে। কিছু মামলায় জামিনে থাকলেও বেশির ভাগ মামলায় তাঁর বিরুদ্ধে আদালতের পরোয়ানা রয়েছে। তালিকাভুক্ত শীর্ষ সন্ত্রাসী জমিরকে ধরতে পুলিশকে বোরকা পড়তে হয়েছে।
তিনি বলেন, গ্রেফতারের পর প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে কিলার জমির পুলিশের কাছে তাঁর অস্ত্রের মজুদের বিষয়ে কোন ধরণের তথ্য দেয়নি। তাই আমরা আদালতে রিমান্ডের আবেদন জানাবো। যাতে রিমান্ডে এনে তার হেফাজতে থাকা অস্ত্রের ভা-ারের সন্ধ্যান নিশ্চিত করতে পারি।