চকরিয়ায় অগ্নিকান্ডে ক্ষতিগ্রস্থ ১২টি পরিবারের মাঝে উপজেলা প্রশাসনের টাকা ও শীতের কম্বল বিতরণ

: নুরুল করিম রাসেল
প্রকাশ: ৪ years ago

এম.জিয়াবুল হক : চকরিয়া উপজেলার কোনাখালী ইউনিয়নে বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট থেকে ভয়াবহ অগ্নিকাÐে পুড়ে গেছে একটি গ্রামের ১২টি কৃষক পরিবারের বসতঘর। শুক্রবার রাত ৯ টার দিকে ইউনিয়নের মরংঘোনা গ্রামে ঘটেছে অগ্নিকাÐের এ ঘটনা। খবরপেয়ে চকরিয়া উপজেলা সদর থেকে ফায়ার সার্ভিসের একটিদল ঘটনাস্থলে পৌঁছে তিন ঘণ্টার চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হন।

ঘটনারদিন রাতে স্থানীয় চকরিয়া-পেকুয়া আসনের সংসদ সদস্য আলহাজ জাফর আলম ঘটনাস্থলে পরিদর্শন করেছেন। এসময় তিনি ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তার আশ্বাস দিয়েছেন। অপরদিকে শনিবার সকালে চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সৈয়দ শামসুল তাবরীজ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। অগ্নিকাÐের ঘটনায় ১২টি পরিবারের প্রায় দুই কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান দিদারুল হক সিকদার।

কোনাখালী ইউপি চেয়ারম্যান দিদারুল হক সিকদার বলেন, শুক্রবার রাত আনুমানিক ৯টার দিকে ইউনিয়নের মরংঘোনা গ্রামের বেশিরভাগ পরিবার রাতের খাবার শেষে ঘুমিয়ে পড়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিল। ওইসময় একটি বাড়ির বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট থেকে আগুনের সুত্রপাত হলে মুর্হুতে আগুনের লেলিহান শিখা আশপাশের বসতঘরগুলো ছড়িয়ে পড়ে।

তিনি বলেন, তাৎক্ষনিক আগুন লাগার বিষয়টি চকরিয়া ফায়ার সার্ভিসকে জানানো হলে তাদের পানিবাহি দুইটি ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নেভাতে কাজ শুরু করেন। টানা তিনঘন্টা চেষ্ঠা চালিয়ে ফায়ার সার্ভিস ও স্থানীয় লোকজন আগুন নেভাতে সক্ষম হলেও ততক্ষনে গ্রামের অন্তত ১২টি পরিবারের বসতঘরসহ সহায় সম্পদ পুড়ে ছাই হয়ে যায়।

ইউপি চেয়ারম্যান বলেন, শনিবার স্থানীয় সংসদ সদস্য আলহাজ জাফর আলম ক্ষতিগ্রস্থ প্রতিটি পরিবারকে দুই বান্ডিল করে ঢেউটিন দিয়েছেন। অপরদিকে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষথেকে ইউএনও সৈয়দ সামসুল তাবরীজ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে প্রতিটি পরিবারকে নগদ ৩ হাজার টাকা করে ও শীতবস্ত্র দিয়েছেন। পাশাপাশি ইউনিয়ন পরিষদের পক্ষথেকেও তাদেরকে খাদ্য সহায়তা দেওয়া হবে। ##