নিজস্ব প্রতিবেদক : চকরিয়া উপজেলার বরইতলী ইউনিয়নের মছনিয়াকাটা এলাকায় ফিল্মীস্টাইলে রাখাইন সম্প্রদায়ের খতিয়ানভুক্ত জমি থেকে পাকা ধান কেটে লুটের ঘটনা ঘটেছে। জড়িতরা বেশিরভাগ ডাকাতিসহ একাধিক মামলার আসামি। এ অবস্থায় ক্ষতিগ্রস্ত জমি মালিকরা প্রাণের ভয়ে আইনের আশ্রয় নিতে সাহস পাচ্ছে না বলে অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগীরা।
ভুক্তভোগী জমি মালিকদের অংশিদার মৃত খাইংজ প্রু এর পুত্র মংহ্লোচিং অভিযোগে জানান, চকরিয়া উপজেলার বরইতলী ইউনিয়নের পঁহরচাদা মৌজায় আমাদের পুর্বপুরুষের বিপুল পরিমাণ খতিয়ানভুক্ত সম্পত্তি রয়েছে। ২০১৫ সালের ৪ মে তারিখে দলিল মালিক ও উইল মালিক উচ্চ আদালতের ডিগ্রি মূলে উল্লেখিত জমির মালিকানা প্রাপ্ত হয়। সেইথেকে জমি মালিকের পক্ষে তিনি ( মংহ্লোচিং) এসব জমিতে চাষাবাদ করে দেখভাল করে আসছেন। পাশাপাশি স্থানীয় কৃষকদেরকে বর্গাচাষী হিসেবে লাগিয়ত দিয়ে বৈধভাবে ভোগদখলে রয়েছেন।
জমি মালিকদের অংশিদার মৃত খাইংজ প্রু এর পুত্র মংহ্লোচিং জানান, এবছরও তারা জমিতে ধান রোপণ করেছেন। সম্প্রতি ধান কাটার সময় ঘনিয়ে আসার মুহূর্তে স্থানীয় একটি লাঠিয়াল চক্র দূর্লোভের বশবতী হয়ে অস্ত্রের মুখে হামলা চালিয়ে বেশিরভাগ ধান কেটে লুটে নিয়ে গেছে।
জমি মালিক মংহ্লোচিং সহ রাখাইন সম্প্রদায়ের লোকজন অভিযোগ করে বলেন, জমির পাকা ধান কেটে লুটের ঘটনায় বরইতলী ইউনিয়নের ৭ নং ওয়ার্ডের মছনিয়াকাটা এলাকার বাসিন্দা ডাকাতিসহ একাধিক মামলার আসামী মৃত আবদুল্লাহর ছেলে মহি উদ্দিন, ৮ নং ওয়ার্ড হাফালিয়া কাটার মৃত মোস্তাক আহমদ এর ছেলে আহমদ হোসেন, মহছনিয়া কাটার আবুল হাসেম এর ছেলে মোহাম্মদ আলী, মৃত ছিদ্দিক আহমদের ছেলে জিয়াবুল প্রকাশ লাল জিয়াবুল, ৯ নং ওয়ার্ড গোবিন্দপুর এলাকার মনছুর আলম, শাহ আলম, আজিজ ও জাফর, মহছনিয়াকাটার ফরিদ আলম, মোঃ বেলাল, মোহাম্মদ ইলিয়াছ,সিরাজ, বদি আলম, বিবিরখীল এলাকার শাহেদ, সিকদার পাড়া এলাকার জানে আলম, মোহাম্মদ কালু, নুর হোছন, কৃষ্ণকাটার আবুল হোছন ও নুরুসহ সংঘবদ্ধ চক্র জড়িত রয়েছে।
ভুক্তভোগী জমি মালিকরা দাবি করেন, ইতোপূর্বে অভিযুক্তরা আদালতের আদেশ অমান্য করে জমিতে জোরপূর্বক ধান রোপনের চেষ্টা করলে জমি মালিকদের পক্ষে মংহ্লোলাচিং বাদী হয়ে চকরিয়া আদালতে একটি এমআর মামলা (২১৯০/২১) দায়ের করেন। পরে থানার ওসি এমআর মামলাটি তদন্তের জন্য হারবাং পুলিশ ফাঁড়ির এসআই শামীম আল মামুনকে দায়িত্ব দেন। মামলাটি এসআই শামীম আল মামুন তদন্ত করতে গিয়ে অভিযুক্ত আসামিদের কয়েকবার বারণও করেন। এরই মধ্যে আসামিরা দলবদ্ধ হয়ে জমি থেকে জোরপূর্বক ধান কেটে নিয়ে গেছে।
এলাকাবাসী অভিযোগ করে বলেন, রাখাইন সম্প্রদায়ের জমি থেকে ধান কেটে লুটের ঘটনায় জড়িতদের মধ্যে সম্প্রতি সংঘটিত থানা পুলিশের উপর হামলার মামলার আসামীও রয়েছে। ##