চকরিয়ায় পুলিশের উপর হামলা ; সাবেক চেয়ারম্যানের ভাইকে অ-প-হ-র-ণে-র মামলায় ইউপি চেয়ারম্যান কারাগারে

: হুমায়ুন রশিদ
প্রকাশ: ৩ মাস আগে

এম জিয়াবুল হক : চকরিয়ায় পুলিশের উপর হামলা ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যানের ভাই এক আওয়ামী লীগ নেতাকে অপহরণের মামলায় উপজেলার সাহারবিল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নবী হোছাইন চৌধুরীকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। গতকাল সোমবার (৮ জুলাই) দুইটি মামলার এজাহারনামীয় এক নম্বর আসামি ইউপি চেয়ারম্যান নবী হোছাইন চৌধুরী উচ্চ আদালতের জামিন মেয়াদ শেষে কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ আদালতে আত্মসমর্পণ করেন। এসময় আদালত শুনানি শেষে তাঁকে কক্সবাজার জেলা কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন বলে নিশ্চিত করেছেন চকরিয়া থানার ওসি শেখ মোহাম্মদ আলী।

সাহারবিল ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আওয়ামী লীগ নেতা মহসিন বাবুল জানান, গত ১৪ জানুয়ারি বিকালে বাড়ি থেকে কক্সবাজার যাবার পথে ইউপি চেয়ারম্যান নবী হোছাইনের নেতৃত্বে ১০/১৩ জনের একটি দুবৃর্ত্ত দল আমার ছোট ভাই আবুল কালামকে অপহরণ করে নিয়ে যায়। পরদিন ১৫ জানুয়ারি সকাল ৮টার দিকে বাড়ির অদুরে পূর্ববড় ভেওলা ইউনিয়নের আটারকুম এলাকা থেকে অজ্ঞান অবস্থায় আবুল কালামকে মুমূর্ষ অবস্থায় উদ্ধার করে স্থানীয় লোকজন।
পরে তাকে চকরিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে তার অবস্থা গুরুতর হওয়ায় কর্তব্যরত চিকিৎসক চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করেন।
এ ঘটনায় ১৭ জানুয়ারি সাহারবিল ইউপি চেয়ারম্যান নবী হোছাইন ও তার ১৪ সহযোগির বিরুদ্ধে চকরিয়া থানায় আবুল কালামকে অপহরণ ও হত্যা চেষ্টার অভিযোগে তার বড় ভাই সাবেক চেয়ারম্যান মহসিন বাবুল বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করেন।

অপরদিকে গত ২৯ জানুয়ারি রাতে চকরিয়া থানা পুলিশের একটি টিম বিভিন্ন মামলার আসামি ইউপি চেয়ারম্যান নবী হোছাইনের কোরালখালী এলাকার বসতঘরে অভিযান চালায় পুলিশের একটি দল। তখন পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে সংঘবদ্ধ লোকজন পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল ছোড়েন এবং পুলিশকে বসতঘরে ঢুকতে না দিয়ে সড়কে ব্যারিকেড দিয়ে বিক্ষোভ করতে থাকেন।
খবর পেয়ে রাতে চকরিয়া সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার রকিব উর রাজা ও চকরিয়া থানার ওসি শেখ মোহাম্মদ আলী আরও পুলিশ সদস্য নিয়ে ঘটনাস্থলে যান। একপর্যায়ে ইউপি চেয়ারম্যানের বসতঘর চারপাশ থেকে ঘিরে অভিযান শুরু করে পুলিশ। রাত সাড়ে ৯টা থেকে সাড়ে ১১টা পর্যন্ত পুলিশ অভিযান চালালেও ইউপি চেয়ারম্যানকে ধরতে পারেনি।
তবে ইউপি চেয়ারম্যান ও তাঁর লোকজনের হামলায় সদরুল আমিন নামের এক পুলিশ কনস্টেবল আহত হয়েছেন। পুলিশের কর্তব্য কাজে বাধা ও হামলায় জড়িত পাঁচজনকে ঘটনাস্থল থেকে আটক করা হয়।
পরে আটক পাঁচজনকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠায় পুলিশ।

এ ঘটনায় ইউপি চেয়ারম্যান নবী হোছাইনকে প্রধান আসামি করে সহযোগী ২৪ জনের বিরুদ্ধে গত ৩০ জানুয়ারি চকরিয়া থানায় একটি মামলা রুজু করে পুলিশ ।

চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ মোহাম্মদ আলী বলেন, পুলিশের উপর হামলা ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যানের ভাইকে অপহরণের মামলায় গতকাল সোমবার এজাহারনামীয় এক নম্বর আসামি ইউপি চেয়ারম্যান নবী হোছাইন চৌধুরী উচ্চ আদালতের জামিন মেয়াদ শেষে কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ আদালতে আত্মসমর্পণ করেন। এসময় আদালত শুনানি শেষে তাঁকে কক্সবাজার জেলা কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন। ##