নিজস্ব প্রতিবেদক : চকরিয়া উপজেলার খুটাখালী ইউনিয়নের মেধাকচ্ছপিয়া মৌজার ছড়াঘোনা ও মাষ্টারঘোনা এলাকায় ১১৪ পরিবারের মালিকানাধীন ১৮২একর লবণমাঠ ও চিংড়ি জমি দখলে নিতে এলাকায় মহড়া চালাচ্ছে কতিপয় একটি দখলবাজ চক্র। এ ঘটনায় চরম আতংক ও উদ্বেগ ছড়িয়ে পড়েছে জমি মালিক ১১৪ পরিবার সদস্যদের মাঝে। অভিযোগ উঠেছে, স্থানীয় একটি চক্র স্থানীয় আলিমুদ্দিন ওয়াকফ্ এস্টেটের ভুয়া মোতায়াল্লীর সঙ্গে জালিয়াতির কাগজ তৈরি করে এসব জমি দখলে নিতে বর্তমানে অপচেষ্টা চালাচ্ছে।
ভুক্তভোগী ১১৪ পরিবার সদস্যরা অভিযোগ করে জানান, খুটাখালী আলীম উদ্দিন ওয়াকফ্ স্টেটের বর্তামন মতোয়াল্লী হলেন উসমান মিয়া চৌধুরী। কিন্তু ওই মতোয়াল্লীর আত্মীয় পরিচয়দানকারী সুলতান লিয়াকত আলী চৌধুরীকে মতোয়াল্লী বানিয়ে ইতোমধ্যে চকরিয়া পৌরসভার ৫নং ওয়ার্ডের কাহারিয়া ঘোনার এলাকার জসিম উদ্দিনের ছেলে মো: হামিদ হোসেন রুবেল, ঈদগাঁও উপজেলার ইসলামপুর ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের ধমের ছড়া এলাকার নুরুল হোছনের ছেলে জসিম উদ্দিন ও চকরিয়া পৌরসভার ৪নং ওয়ার্ডের দক্ষিণ বাটাখালী এলাকার মো: নুরুল আলম এর ছেলে সাদ্দম হোসেন মিটুরা মিলে ভূয়া মতোয়াল্লী থেকে ১১৪ পরিবারের মালিকানাধীন স্থানীয় ছড়া ঘোনার জমি চুক্তি ভিত্তিক চাষাবাদের জন্য নিয়েছে জানিয়ে সম্প্রতি সময়ে ওই লবণ চাষের জমি দখলে নিতে মহড়া দিচ্ছে। অভিযুক্তরা গত ১ সপ্তাহ ধরে অবৈধ অস্ত্র নিয়ে সন্ত্রাসী লোক পাঠিয়ে সেখানে গুলি ছুঁড়ে ভীতি সৃষ্টি করে লবণ জমি জবর দখলের চেষ্টা চালাচ্ছে।
এ অবস্থায় ১১৪ পরিবার সদস্য ও তাদের নিয়োজিত চাষীরা ভয়ে গত এক সপ্তাহ ধরে লবণ মাঠে নামতে পারছে না। এতে চাষীরা লাখ লাখ টাকার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ঘটনার পর থেকে চাষী ও জমি মালিকদের মাঝে ডাকাত আতঙ্ক বিরাজ করছে।
জমি মালিক পক্ষের ১১৪ পরিবারের অংশিদাররা জানায়,খুটাখালী ইউনিয়নের মেধাকচ্ছপিয়া মৌজার বিএস ১৫৬খতিয়ানের ৫৮একর ৪৯শতক ও বিএস ৭৬ খতিযান ১২৫ একর ১১ শতকসহ দুই খতিয়ানে মোট ১৮২একর লবন ও চিংড়ি জমি রয়েছে স্থানীয় ১১৪ পরিবারের। এসব জমি তাঁরা ক্রয়সুত্রে মালিকানাধীন।
দেশ স্বাধীন হওয়ার পর থেকে এসব পরিবার জমি গুলোর বিপরীতে সরকারের সংশ্লিষ্ট দপ্তরে প্রতিবছর যথারীতি খাজনাও (রাজস্ব) পরিশোধ করে বৈধভাবে ভোগদখল করে আসছেন। ইতোমধ্যে সকলের নামে আলাদা জমাভাগ খতিয়ানও সৃজন হয়েছে উপজেলা ভুমি কর্মকর্তার দপ্তর থেকে।
১১৪ পরিবারের মালিকপক্ষের লোকজন অভিযোগ তুলেছেন, তাঁরা উল্লেখিত লবণমাঠ ও চিংড়িজমি শান্তিপুর্ণভাবে ভোগদখলে থাকলেও সম্প্রতি সময়ে ভুমিদস্যু চক্রের সদস্যরা ভুয়া এক ব্যক্তির কাছ থেকে বানোয়াট চুক্তিপত্র নিয়ে এসব জমি অবৈধ ভাবে দখলে নিতে অস্ত্রের মহড়া দিচ্ছে।
সর্বশেষ কয়েকদিন আগে ভাড়াটে একটি অস্ত্রধারী দুর্বৃত্তদল ১৮২ একর লবণমাঠ ও চিংড়ি জমি দখলে নিতে হামলা ও গুলিবর্ষণ করেছে।
এদিকে ভুক্তভোগী জমি মালিক ১১৪ পরিবারের সদস্যরা মালিকানার স্বপক্ষে দলিলপত্র তুলে ধরে বলেন, খুটাখালী মেদা কচ্ছপিয়ার মৌজা (আর এস) খতিয়ান ৫৬/৫ জমির পরিমান (৫৮ একর) আবদুল জালিল মাষ্টার (আর এস) খতিয়ান ৫৬/৬ হাজী গুরা মিয়ার (এম আর আর) খতিয়ান ৩৫ (এম আর আর) খতিয়ান ৩৮।
এবং বিএস খতিয়ান ১৫৬ – ৫৮ একর বিএস খতিয়ান ৭৬ হাজী গুরা মিয়ার নামে ১২৫ একর ১১ শতক। এদের ওয়ারিশগন থেকে বিভিন্ন সময়ে রেজিষ্টার কবলা মুলে খরিদ করে নিজ নিজ নামে জমাভাগ সৃজন করে উল্লেখিত জমির বিপরীতে সন সন সরকারি খাজানা জমা দিয়ে এসেছেন। এ অবস্থায় ভুক্তভোগী ১১৪ পরিবার সদস্যরা অবিলম্বে অবৈধ দখলবাজ ভূমিদূস্যর হাত থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য কক্সবাজার জেলা প্রশাসক ও কক্সবাজারের জেলা পুলিশ সুপারের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। ##