কৈয়ারবিল ইউপিতে প্রশাসন শান্তির্পূণ সুষ্ঠ নির্বাচন প্রশ্নবিদ্ধ করতে নাটক

: নুরুল করিম রাসেল
প্রকাশ: ৩ years ago

নিজস্ব প্রতিবেদক : তৃতীয়ধাপে গত ২৮ নভেম্বর কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলার কৈয়ারবিল ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন সম্পন্ন হয়েছে। ওই নির্বাচনে বিপুল ভোটের দ্বিতীয়বার চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী ও বর্তমান চেয়ারম্যান মক্কী ইকবাল হোসেন। নির্বাচনের আগে ও পরে কয়েকটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা ঘটলেও ভোটের দিন সর্বস্তরের জনসাধারণ শান্তিপুর্ণ পরিবেশে ভোট দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন নির্বাচিত চেয়ারম্যান মক্কী ইকবাল।
তিনি বলেন, প্রভাবশালী ও বিপুল টাকার মালিক অনেক প্রার্থী এবারের নির্বাচনে অংশ নেয়ায় জনগনের মাঝে একধরণের ভীতি তৈরী হয়। কারণ টাকার জোরে এসব প্রার্থীরা বহিরাগত এলাকা থেকে ভাড়াটে লোক এনে কৈয়ারবিল ইউনিয়নের প্রতিটি জনপদে মহড়া দিচ্ছিল। সাধারণ জনগন ও ভোটারদের নানাভাবে ভীতি দেখাতেও চেষ্ঠা করে বহিরাগত লোকজন।
চেয়ারম্যান ইকবাল হোসেন বলেন, নির্বাচনে প্রতিদ্ব›িদ্ব প্রভাবশালী প্রার্থীদের দাপট আর টাকার জোরে আমিও আতঙ্কিত ছিলাম। কিন্তু ভোটের দিন নির্বাচনের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রশাসনের বিভিন্ন বিভাগের দায়িত্বশীল কর্মকর্তা ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা ছিলেন কঠোর ভুমিকায়। মুলত প্রশাসনের নিরপেক্ষ ভুমিকার ফলে ২৮ নভেম্বর কৈয়ারবিল ইউপি নির্বাচন অবাধ সুষ্ঠ ও শান্তিপুর্ণ পরিবেশে সম্পন্ন হয়েছে।
প্রশাসন কৈয়ারবিল ইউনিয়নবাসিকে একটি শান্তির্পূণ অবাধ সুষ্ঠ নির্বাচন উপহার দিলেও নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে পরাজিত একটিপক্ষ সরকারের ভাবমূর্তি প্রশ্নবিদ্ধ করতে মরিয়া হয়ে উঠেছে। তাঁরা কৈয়ারবিলের শান্ত পরিবেশকে ঘোলাটে করতে নতুন চক্রান্ত করছে। চেয়ারম্যান মক্কী ইকবাল হোসেন দাবি করেন, নির্বাচনের দিন একটি ভোট কেন্দ্রে ফলাফল ঘোষনা করতে বিলম্ব হচ্ছে দেখে কয়েকজন মেম্বার প্রার্থীর কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। ওইসময় কর্মী-সমর্থকরা ভোট কেন্দ্রের সামনে সড়কে অবরোধ সৃষ্টি করে। ওইসময় আমি খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সহায়তায় সেখানের পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে রাখি। সেখানে আর কোনধরণের ঘটনা ঘটেনি। পরে ভোট কেন্দ্র থেকে নির্বাচনের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা উপজেলা কন্ট্রোল রুমে নিরাপদে চলে যান।
তিনি অভিযোগ করে বলেন, ভোট কেন্দ্রে মেম্বার প্রার্থীদের হাতাহাতির সেই ঘটনাটি প্রশাসনিক হস্তক্ষেপে সমাধান হলেও নির্বাচনের তিনদিন পর পরাজিত ওই মহলটি তাতে রং লাগিয়ে সড়ক কেটে ব্যারিকেড দিয়ে ব্যালট বাক্স ছিনতাইয়ের অপচেষ্টার অভিযোগ তুলে আমাকে জড়িয়ে কাল্পনিক অপপ্রচার শুরু করে। এমনকি আমাকে অস্ত্রসহ আটকের পর ছেড়ে দেওয়া হয়েছে বলেও তাঁরা মিথ্যাচার করেছে। মুলত ওই মহলটি অবান্তর বিষয়টিকে আরো গুরুত্ব দিতে ফেসবুক এবং কয়েকটি গণমাধ্যমে ছড়িয়ে দেয়। যদিও প্রশাসন এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বিষয়টি সর্ম্পকে অবগত আছেন।
ইউপি চেয়ারম্যান মক্কী ইকবাল বলেন, মেম্বার প্রার্থীদের কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে হাতাহাতি ঘটনাটির জেরে নির্বাচনের তিনদিন পর প্রিসাডিং কর্মকর্তা বাদি হয়ে চকরিয়া থানায় মামলা করেছেন। এ ঘটনায় আমার কৈয়ারবিল ইউনিয়নের জনসাধাণকে ভাবিয়ে তুলেছে। কারণ এখানেও ওই মহলটির চক্রান্ত আছে কী না। তারপরও ওই মামলায় কৈয়ারবিল ইউনিয়নের নিরীহ জনসাধারণ এবং কর্মী-সমর্থককে আসামি করায় আমি নিরপেক্ষ তদন্তের দাবি জানাচ্ছি প্রশাসনের কাছে। পাশাপাশি অযথা হয়রাণি থেকে কৈয়ারবিলের জনগনকে রেহায় দিতে প্রশাসনের কাছে বিনীত আবেদন জানাচ্ছি। ##