টেকনাফ টুডে ডেস্ক : মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প দেশটির কংগ্রেসের নিম্নকক্ষ প্রতিনিধি পরিষদে ভোটে অভিশংসিত হয়েছেন। এর ফলে তিনি মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে থাকতে পারবেন কি না, তা সিনেটের ভোটে চূড়ান্ত হবে।
তবে সিনেটে কখন অভিশংসনের শুনানি হবে, এখন পর্যন্ত তা শতভাগ নিশ্চিত হওয়া যায়নি। শীতকালীন ছুটির পর জানুয়ারির দ্বিতীয় সপ্তাহে সম্ভবত এই বিচারের ব্যাপারে সাধারণ সম্মতি নেওয়া শুরু করবে বলে জানিয়েছে বিবিসি।
স্থানীয় সময় গতকাল বুধবার ডেমোক্র্যাট নিয়ন্ত্রিত প্রতিনিধি পরিষদের ভোটে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প অভিশংসিত হয়েছেন। তার বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহার ও কংগ্রেসের কাজে বাধা দেওয়ার দুটি অভিযোগ আনা হয়েছে।
একাধিক আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম জানিয়েছে, সংখ্যাগরিষ্ঠের ভোটে ট্রাম্পের অভিশংসন প্রস্তাব পাস হলেও চূড়ান্ত অভিশংসনের জন্য দেশটির উচ্চকক্ষ সিনেটে প্রস্তাবটি উঠবে। সেখানে দুই তৃতীয়াংশ ভোটে অভিশংসিত হলে প্রেসিডেন্ট পদ ছাড়তে হবে ট্রাম্পকে।
তবে প্রতিনিধি পরিষদে ডেমোক্র্যাটদের আধিপত্য থাকলেও সিনেটে সংখ্যাগরিষ্ঠ রিপাবলিকানরা।
অভিশংসন ভোটের পর হোয়াইট হাউস এক বিবৃতিতে বলেছে, প্রেসিডেন্ট আত্মবিশ্বাসী যে তিনি সম্পূর্ণ নির্দোষ প্রমাণিত হবেন সিনেটের ভোটে।
যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে এর আগে প্রতিনিধি পরিষদে আরও দুজন প্রেসিডেন্ট অভিশংসিত হয়েছিলেন। তারা হলেন এন্ড্রু জনসন ও বিল ক্লিনটন। তবে সিনেটে তারা দোষী প্রমাণিত হননি।
সিনেটে রিপাবলিকান পার্টির আধিপত্য থাকায় সেখানে ট্রাম্প দোষী প্রমাণিত হওয়ার সম্ভাবনা নেই বললেই চলে।
তবে এই অভিশংসন আগামী বছরের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে কোনো প্রভাব পড়বে কিনা, সেই প্রশ্নের জবাবেও পরিষ্কার কোনো কিছু পাওয়া সম্ভব হয়নি।
ডেমোক্র্যাটরা বলছেন, এই অভিশংসন ট্রাম্পের ভাবমর্যাদাকে কলঙ্কিত করবে। ফলে ভোটাররা তাকে ভোট দিতে গিয়ে সংকোচে পড়বেন।
তবে সিনেটেও ট্রাম্প অভিশংসিত হয়ে মাইক পেন্স প্রেসিডেন্ট হলে তিনি কি আইনগতভাবে ট্রাম্পকে ভাইস প্রেসিডেন্ট বানিয়ে নিজে পদত্যাগ করতে পারেন? যুক্তরাষ্ট্রের সংবিধানে এ প্রক্রিয়াকে নিষিদ্ধ করা হয়নি। কাজেই এমনটি ঘটা খুবই সম্ভব।
প্রথমত ট্রাম্পকে ভাইস প্রেসিডেন্ট বানাতে চাইলে মাইক পেন্সকে সেই প্রস্তাব হাউস ও সিনেটে সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোটে অনুমোদন করিয়ে নিতে হবে।
তবে ডেমোক্র্যাটদের নিয়ন্ত্রণে থাকা হাউসে স্বাভাবিকভাবেই ট্রাম্পকে ভাইস প্রেসিডেন্ট হতে দিতে চাইবে না।
এমন সম্ভাবনাও আছে যে, ট্রাম্পকে সিনেটে তার দায়িত্ব থেকে অপসারণ করার সময়ই এমন নিষেধাজ্ঞা জারি করবে, ফলে ভবিষ্যতে তিনি দায়িত্বে আসার সুযোগ হারাবেন।
কিন্তু সিনেট যদি তা না করে, তা হলে মাইক পেন্স সহজেই ট্রাম্পকে ভাইস প্রেসিডেন্ট বানাতে পারবেন। আর তখন ২০২০ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে অংশ নেওয়ার ক্ষেত্রেও ট্রাম্পকে বাধা দেওয়া সম্ভব হবে না।