কাব্যে সূরা বাক্বারা [সূরা বাক্বারার ধারাবাহিক কাব্যিক ভাবানুবাদ।]

লেখক: নুরুল করিম রাসেল
প্রকাশ: ৫ years ago

মদীনায় অবতীর্ণ, আয়াত :-২৮৬
***************************************************
মোহাম্মদ আবুল হোছাইন হেলালী
**************************************************
আয়াত নম্বর :-৬১
**************************
★★শুরু করছি আমি মহান আল্লাহর নামে
যিনি পরম করুণাময় অসীম দয়ালু এ ধরাধামে। ★★
**************************************************
বনি ইসরাইল জাতি ছিলো অকৃতজ্ঞ অতি –
সুস্বাদু আসমানী খাবারে করে প্রকাশ অনিহা ;
খেতে অস্বীকৃতি জানায় বিনা কষ্টে ” মান্না – সাওয়া ”
একই রকম খাদ্যে ধরবেনা ধৈর্য মানবেনা ” তাকওয়া “।

সুতরাং বলে তারা হয়ে দিশেহারা –
কর প্রার্থনা তোমার প্রভূর সকাশে,
বেহেশতী খাবার নয়,কৃষিজাত দ্রব্য চোখে ভাসে!
সবজি, কাঁকুড়, গম,মসুর ও পেঁয়াজ যেন আসে।

অযৌক্তিক এ আবদার পেশ কালে
হযরত মুসা (আঃ) তাদের বলে –
উৎকৃষ্ট বস্তুর সাথে নিকৃষ্ট বস্তুর আদল
চাও কি তোমরা করতে বদল ?
তবে কোন নগরে কর অবতরণ
যা চাও তা সেথায় পারে তখন।

নবী মুসা (আঃ) র ছিলো জবাব স্বাচ্ছা
শুনতে চায়না তাদের অবান্তর কিচ্ছা –
তাঁর এ জবাব শুনে মনের কথা রেখে মনে
অনেকে যায় চলে বিশেষ জনপদে কৌশলে !
শুরু করে বসবাস ডেকে আনে সর্বনাশ।

লিপ্ত হয় আল্লাহর অবাধ্যতা ও ব্যবিচারে ;
ফলে দুঃখ তারা ভোগে বিষাদ সিন্ধু যোগে !
লাঞ্চণা ও দারিদ্রতাগ্রস্থ দুঃখ -শোকে আহারে,
আল্লাহর ক্রোধের পাত্র হলো তারা দেখোরে।

এ জন্য হলো তারা তাঁর গযবে দিশেহারা
বিধাতার বাণীকেও তারা করত অস্বীকার !
আর নবী-রাসূলদের হত্যা করত বারবার ;
মহান রবের জানা ছিলো তাদের দ্বিমুখী এ আচার।

তারা হয়ে অভিশপ্ত গযবে হয় পতিত
ছিলো প্রভূর অবাধ্যতা ও সীমালঙ্ঘনকারী,
ইহ-পর উভয়কালে হবে হবেই তারা
অশেষ কষ্ট ভোগী জাহান্নামের অধিকারী
জেনে রেখো অন্ত – আদি,হে উম্মতে মুহাম্মাদী।