টেকনাফ টুডে ডেস্ক : গ্রীষ্মের তীব্র দাবদাহে কিছুটা স্বস্তি পেতে আমের শরবত খেতে পছন্দ করেন অনেকেই। সরাসরি কিংবা চাটনিতে দিয়েও কাঁচা আম খান অনেকেই। কিন্তু আপনি জানেন কি বাঙালির অতিপ্রিয় এই কাঁচা আম শুধু স্বাদ নয়, খেয়াল রাখে স্বাস্থ্যেরও? জেনে নিন কী কী উপকার মিলতে পারে কাঁচা আম থেকে-
গরম থেকে বাঁচতে
প্রখর তাপের ক্ষতিকর প্রভাব থেকে দেহকে রক্ষা করতে বেশ কার্যকর কাঁচা আম। এটি সান স্ট্রোকের ঝুঁকি কমায়। দেহে সোডিয়াম ক্লোরাইড ও আয়রনের ঘাটতি পূরণ করতেও দারুণ উপযোগী এই কাঁচা আম।
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে
কাঁচা আমে ভিটামিন সি, ভিটামিন ই ও একাধিক অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট থাকে। এই উপাদানগুলো শ্বেত রক্তকণিকার কার্যকারিতা বৃদ্ধি করতে ও দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে সহায়তা করে।
ওজন কমাতে পারে কাঁচা আম
যারা ওজন কমাতে বা শরীরের বাড়তি ক্যালরি খরচ করতে চান, তাদের জন্য এখন আদর্শ ফল কাঁচা আম। পাকা মিষ্টি আমের চেয়ে কাঁচা আমে চিনি কম থাকে বলে এটি ক্যালরি খরচে সহায়তা করে।
পেটের গোলযোগ কমাতে
অ্যাসিডিটি, কোষ্ঠকাঠিন্য ও বদহজমের সমস্যা কমাতে বেশ উপযোগী কাঁচা আম। এটি খাদ্যনালীতে বিভিন্ন পাচক উৎসেচকের ক্ষরণ বৃদ্ধি করে। গ্রাম বাংলায় অ্যাসিডিটির সমস্যা কমাতে কাঁচা আম চিবিয়ে খাওয়ার প্রচলন রয়েছে।
ঝিমুনি দূর করে
দুপুরে খাওয়ার পর এই গরমে কিছুটা ঝিমুনি ভাব দেখা দিতে পারে। কাঁচা আমে আছে প্রচুর শক্তি। দুপুরের খাওয়ার পরে কয়েক টুকরা কাঁচা আম খেলে ঝিমুনি দূর হয়।
চোখের সমস্যায়
কাঁচা আমে থাকে লুটেইন ও জিয়াজ্যান্থিন। চোখের রেটিনার স্বাস্থ্য রক্ষায় এই দুটি অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট খুবই উপযোগী। পাশাপাশি কাঁচা আমে থাকে ভিটামিন এ। চোখের স্বাস্থ্য রক্ষায় এটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
শরীর ঠান্ডা থাকে
কাঁচা আমে পটাশিয়াম থাকার কারণে তা শরীরকে ঠান্ডা রাখতে সাহায্য করে৷ এ কারণে শরীরে ঘাম কম হয়। এটি খেলে গরমে ক্লান্তিও দূর হয় ৷
চুল ও ত্বক উজ্জ্বল করে
প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকার কারণে তা চুল ও ত্বককে উজ্জ্বল রাখতে সাহায্য করে ৷
হজম ভালো হয়
কাঁচা আমে গ্যালিক অ্যাসিড থাকার কারণে তা হজম-প্রক্রিয়াকে গতিশীল করে।
মুখের হরেক সমস্যায়
যেহেতু কাঁচা আমে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন সি থাকে, তাই এটি মুখের নানা রকম ক্ষত নিরময়ে সহায়তা করতে পারে। স্কার্ভি ও মাড়ি থেকে রক্তপাতের মতো সমস্যায় কাজে আসতে পারে এই কাঁচা আম।
তবে প্রত্যেকের শরীর ও সমস্যা আলাদা। তাই কোনো খাবার একজনের জন্য উপকারী হলেও অন্য কারও শরীরে বিরূপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করতে পারে। কাজেই যেকোনো খাবার পথ্য হিসেবে খেতে হলে বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ নেওয়া বাঞ্ছনীয়।