শামীম ইকবাল চৌধুরী : দেশে করোনার আক্রান্ত হওয়া রোগীর সংখ্যা বাড়তে থাকায় সরকারকরে ঘোষিত কঠোর নির্দেশনার প্রেক্ষিতে ৩য়দিনেও নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তজুড়ে কঠোর নজরদারি রেখেছে বিজিবি। কেউ যাতে নাইক্ষ্যংছড়ির কোনো সীমান্ত দিয়ে মায়ানমারে অনুপ্রবেশ না করতে পারেন, সে জন্য সীমান্তে এই কঠোর নজরদারি চলছে।
বিজিবির পাশাপাশি সীমান্তজুড়ে গোয়েন্দা নজরদারিও বাড়ানো হয়েছে।
নাইক্ষ্যংছড়ি ১১ বিজিবির ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল শাহ আব্দুল আজিজ আহাম্মেদ এ তথ্য জানিয়েছেন।
শনিবার সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত সীমান্তে ঘুরে দেখাযায়, ১১ বিজিবির সদস্যরা স্বাস্থ্যবিধি মেনে গাড়ী যোগে সীমান্তে টহল অবস্থায় গাড়ীতে টাঙ্গানো সচেতনতা মূলক ব্যানার,মাক্স বিতরণ ও অপ্রয়োজন অথবা অযথা ঘুরাঘুরি না করে ঘরে ফেরার তাগিদ দিয়ে মাইকিং করেন এবং কেটে খাওয়া ও পথচারিদেরকে করোনার সচেতনতা মূলক রোগ বালাইর কথা বুঝানোর চেষ্টা চালাতে দেখা যায়।
নাইক্ষ্যংছড়ি ১১ বিজিবির ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল শাহ আব্দুল আজিজ আহাম্মেদ জানান, বাংলাদেশ-মায়ানমার সীমান্ত দিয়ে দুই দেশের মানুষের অবৈধ চলাচলের মাধ্যমে করোনাভাইরাসের মায়ানমারের ধরন দেশে ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে। এ কারণে সীমান্তবর্তী বিওপিগুলোতে স্পর্শকাতর হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।
এসব এলাকা দিয়ে অবৈধ চলাচল প্রতিরোধে ১১,বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সদস্যরা ইতিমধ্যে নিয়মিত টহলের পাশাপাশি অতিরিক্ত টহল হিসেবে নজরদারি করছে।
নাইক্ষ্যংছড়ি ১১ বিজিবির ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল শাহ আজিজ আহাম্মেদ আরও বলেন, সীমান্ত দিয়ে অবৈধভাবে প্রবেশের কঠোর নিরাপত্তার জোরদার করা হয়েছে। এ ছাড়া অবৈধ যাতায়াত বন্ধে শূন্যসহিষ্ণুতা নীতি গ্রহণ করা হয়েছে। জনপ্রতিনিধিদের নিয়ে ইতিমধ্যে সীমান্তের প্রতিটি মসজিদে মাইকিং করে করোনা প্রতিরোধে জনসচেতনতা বাড়ানো হয়েছে। একই সঙ্গে কেউ যাতে অবৈধভাবে সীমান্ত দিয়ে পারাপার না হন, সে বিষয়েও সতর্ক করে মাইকিং করেও হচ্ছে।