করোনা কেন বাড়ছে ; ২৯ জেলা ঝুঁকিপূর্ণ

লেখক: নুরুল করিম রাসেল
প্রকাশ: ৪ years ago

টেকনাফ টুডে ডেস্ক : করোনাভাইরাসের প্রকোপ বাড়ছে সারা দেশে। এ মহামারির দ্বিতীয় ঢেউ ও সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে সরকারের পক্ষ থেকে ১৮ দফা নির্দেশনা জারি করা হয়েছে। একইসঙ্গে সবধরনের জনসমাগম নিষিদ্ধ করা হয়েছে। গতকাল সোমবার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে এমন নির্দেশনা জারি করা হয়। এদিকে, দেশে ২৯টি জেলাকে ‘ঝুঁকিপূর্ণ’ হিসেবে চিহ্নিত করেছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।

সংক্রমণের হার বিবেচনায় ঢাকা, চট্টগ্রাম, নারায়ণগঞ্জ, গাজীপুর, মুন্সীগঞ্জ, ফেনী ও চাঁদপুরসহ মোট ২৯ জেলা করোনাভাইরাসের ঝুঁকিতে রয়েছে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে গতকাল সোমবার এ তথ্য জানান অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা।

সংবাদ সম্মেলনে ফ্লোরা জানান, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের এমআইএস শাখায় ২৪ মার্চ পর্যন্ত আসা তথ্য বিশ্লেষণ করে এসব জেলাকে ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। তিনি বলেন, ‘বিষয়গুলো বিশ্লেষণ করার জন্য আমাদের একটা কমিটি করা আছে। সেই কমিটিকে আমরা জানিয়ে দিই কোন কোন জেলায় সংক্রমণের হার তুলনামূলক বেশি। ২৪ তারিখ পর্যন্ত পাওয়া তথ্যে আমরা ২৯টি জেলায় আমরা সংক্রমণের হার বেশি দেখতে পেয়েছি।’

ফ্লোরা বলেন, ‘এবার যারা আক্রান্ত হচ্ছেন, তাদের বেশিরভাগ বয়সে তরুণ। প্রথম দিকে মানুষ বাইরে কম বের হত। তখন আমরা দেখেছি যারা বাইরে যাচ্ছেন, কাজে যাচ্ছেন, তাদের মধ্যে সংক্রমণের হার বেশি। এখন সবাই বাইরে বের হচ্ছে। বিশেষ করে ইয়াংরা এখন অনেক বেশি বের হয়। এ কারণে তাদের মধ্যে সংক্রমণের হার বেশি দেখা যাচ্ছে।’

একই সংবাদ সম্মেলনে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখার পরিচালক অধ্যাপক ডা. নাজমুল ইসলাম বলেন, ‘মানুষের অবহেলার কারণে নতুন করে সংক্রমণের এই উচ্চমাত্রা তৈরি হয়েছে। এজন্য মানুষ দায়ী। গত এক বছর ধরে আমরা যে চর্চাগুলো করেছি, স্বাস্থ্য সুরক্ষায় যে শিষ্টাচারগুলো আমরা শিখেছি, গত দুই-তিন মাসে আমরা চরম আত্মতুষ্টিতে ভুগেছি। এ কারণেই সংক্রমণের ঊর্ধ্বগতি। কোনো স্ট্রেইনকে দায়ি করে লাভ নেই। আমরা এখনও যদি সতর্ক হই, তাহলে অবশ্যই আমরা একে মোকাবিলা করতে পারি।’

দেশে গত জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারি করোনা আক্রান্ত নতুন রোগীর পরিমান কমতে শুরু করলেও মার্চের শুরু থেকে দৈনিক শনাক্ত রোগী, মৃত্যুর সংখ্যা ক্রমাগত বাড়ছে। গত এক দিনে ৫ হাজার ১৮১ জনের মধ্যে সংক্রমণ ধরা পড়েছে। দেশে মহামারি শুরু হওয়ার পর এ সংখ্যা সর্বোচ্চ। শনাক্ত মোট রোগীর সংখ্যা ৬ লাখ ছাড়িয়ে গেছে; মৃত্যু হয়েছে মোট ৮ হাজার ৯৪৯ জনের।