শামীম ইকবাল চৌধুরী : এক খারাপ সময় অতিক্রম করছে সারা বিশ্বের মানুষ।প্রাণঘাতী করোনা কোভিড-১৯ সংক্রমণ মোকাবিলার কাজ করছে সমাজের সব পেশার মানুষ। কিন্তু এদের মধ্যে চিকিৎসক,আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও প্রশাসনের সদস্যরা ঝুঁকি কাজের মোকাবিলায় সরকার পক্ষথেকে পারসোনাল প্রোটেকটিভ ইকুইপমেন্ট(পিপিই) বা বিশেষ সুরক্ষা পোশাক পাওয়ার আশা থাকলেও
সাংবাদিকেরা সে রকম কারো পক্ষ থেকে পাওয়ার আশা করছেন না। অথচ এই ভয়ন্কর করোনা পরিস্থিতিতে সাংবাদিকেরা বেশী ঝুঁকি নিয়ে কাজ করেন ।
আতঙ্কে আছেন মফস্বল সাংবাদিকেরা। তারা অবৈতনিক দেশ ও জাতীর জন্য কাজ করে যাচ্ছে বছরের পর বছর।
মফস্বল সাংবাদিকেরা করোনার সংক্রমণের ঝুঁকি নিয়ে আমাদের যেভাবে তথ্য দিয়ে যাচ্ছেন সেটা প্রশাংসার।
যে কোন দূর্যোগ মোকাবিলায় মফস্বল সাংবাদিকেরা অপরিসীম দায়িত্ব পালন করছেন। তেমনি করোনা পরিস্থিতি সম্পর্কে তাঁরা সর্বদা আপডেট তথ্য দিয়ে থাকেন। সাংবাদিকেরা নানাভাবে জনসাধারণকে সচেতন করে যাচ্ছেন,যা করোনার সংক্রমণের ঝুঁকি থেকে দেশবাসীকে রক্ষা করবে বলে মনে করছি।
গ্রামের কোনো এক ক্ষুদ্র জায়গা থেকে সংবাদ সংগ্রহ করে দেশের সর্বত্রে খবর গুলো পৌছেঁ দিই। সে তথ্যই আমরা পাই।
বিশেষ করে মফস্বল সাংবাদিকরা পাহাড়ের প্রত্যন্তঞ্চলে ঝুঁকি নিয়ে অক্লান্তভাবে কাজ করছেন।
তাঁদেরকে সরকারের যে কোন খাতে বা অন্য সেবাধর্মী সংগঠন অথবা বড় বড় ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানকে এ বিশেষ সুরক্ষা পোষাকের বিষয়ে যতটুকু সম্ভব দ্রুত কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করা উচিত। যা করোনা প্রতিরোধে বড় ভূমিকা রাখবে এবং এলাকার সব নাগরিক করোনার সংক্রমণ থেকে মুক্ত হতে পারবে।
চীন, জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া যদি আইন শৃংখলা বাহিনীসহ স্বাস্থ্য, প্রশাসন ও সাংবাদিককে করোনার সংক্রমণ থেকে রেহায় পাওয়ার বিশেষ সুরক্ষার পোষাক দিয়ে দেশের বড় বড় ঝুঁকি নিয়ে করোনা সংক্রমণ থেকে মুক্ত করতে পরলে আমরা কেন পারবো না। যদি সাংবাদিকেরা কাজের ঝুঁকিতে সুরক্ষা পোশাক (পিপিই) পাই তাহলে
আমরাও আল্লাহর রহমতে করোনার সংক্রমণ থেকে মুক্ত হতে পারবো।
কিন্তু আমাদের সবার দরকার, সচেতনতা মেনে চলা। সরকারের নেওয়া পদক্ষেপগুলো যদি আমরা মেনে চলি এবং আন্যদের অনুসরণ করতে উৎসা দিই, তাহলে আমরাও করোনা সংক্রমণ থেকে রক্ষা পেতে পারি।