টেকনাফ টুডে ডেস্ক : করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে ঘরবন্দি হয়ে পড়েছে বিশ্ব। ইতোমধ্যে প্রায় আড়াই লাখ মানুষ মারা গেছেন। শুধু একটি ভ্যাকসিন তৈরি হলেই এ প্রাণঘাতী ভাইরাস উধাও হবে।
কিন্তু সবচেয়ে খারাপ আরেকটি সম্ভাবনাও রয়েছে। সেটি হল- কোনো দিন এ ভাইরাসের ভ্যাকসিন আবিষ্কার না হওয়া। সিএনএন জানায়, ভ্যাকসিন আবিষ্কার না হলে সমাজ এ ভাইরাসের সঙ্গে নিজেকে খাপ খাওয়াতে শিখবে।
বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ মেনে শহরগুলো ধীরে ধীরে খুলবে। টেস্টিং, ফিজিক্যাল ট্রেসিং ও আত্মসঙ্গরোধ আমাদের জীবনের অংশ হবে। চিকিৎসা উন্নত হবে, কিন্তু প্রতি বছর এ রোগের প্রাদুর্ভাব ঘটবে। বৈশ্বিক মৃত্যুহার বাড়তে থাকবে।
বিশ্বের বহু দেশে এখন করোনার ভ্যাকসিনের পরীক্ষামূলক প্রয়োগ চলছে বলে জানা গেছে। কিন্তু বহু বিশেষজ্ঞের মতে, শিগগিরই এ ভাইরাসের ভ্যাকসিন পাওয়া সম্ভব নয়।
এর আগে কিছু কিছু ভাইরাসের ভ্যাকসিন না আবিষ্কার হওয়ার ইতিহাস রয়েছে। ইম্পেরিয়াল কলেজ লন্ডনের অধ্যাপক ডা. ডেভিড নাবারো বলেন, এখনও বহু ভাইরাসের ভ্যাকসিন আবিষ্কার হয়নি।
কোভিড-১৯ প্রতিরোধে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার দূত হিসেবে কাজ করা নাবারো আরও বলেন, শিগগিরই ভ্যাকসিন আবিষ্কার হবে এমন নিশ্চয়তা এখনও আমরা পাইনি।
এর আগে এইচআইভি, ম্যালেরিয়া ও অন্যান্য করোনাভাইরাসের কোনো কার্যকর প্রতিষেধক আবিষ্কার হয়নি। অধিকাংশ বিশেষজ্ঞ বলেছেন, নভেল করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন আবিষ্কার হবেই।
এক্ষেত্রে ১৮ মাস সময় লেগে যেতে পারে বলে আগেই জানিয়েছেন ন্যাশনাল ইন্সটিটিউট অব অ্যালার্জি অ্যান্ড ইনফেকশাস ডিজেজের পরিচালক ডা. অ্যান্টনি ফাউসি।
ইংল্যান্ডের প্রধান মেডিকেল কর্মকর্তা ক্রিস হোয়াইটি বলেছেন বছর খানেক লাগতে পারে। হিউস্টনের বেলর কলেজ অব মেডিসিনের ডিন ডা. পিটার হোটেস বলেন, এক বছর থেকে ১৮ মাসের মধ্যে করোনার ভ্যাকসিন তৈরি হওয়ার বিষয়টি আমরা এখনও নিশ্চিত পারিনি।
১৯৮৪ সালে যুক্তরাষ্ট্রের তৎকালীন স্বাস্থ্যমন্ত্রী মার্গারেট হেকলার ঘোষণা করেন যে বিজ্ঞানীরা এইচআইভির একটি কার্যকর ভ্যাকসিন আবিষ্কার করেছেন। পরীক্ষামূলক প্রয়োগের দুই বছর পর এমনটা ঘোষণা দেয়া হয়েছিল। কিন্তু চার দশক পর প্রায় তিন কোটি ২০ লাখ মানুষ মারা গেলে এখনও এইচআইভির কার্যকর ভ্যাকসিনের দেখা মেলেনি।