করোনাকালীণ সময়েও চকরিয়ায় এগিয়ে যাচ্ছে পরিবার পরিকল্পনা সেবা

লেখক: নুরুল করিম রাসেল
প্রকাশ: ৫ years ago

প্রতিমাসে জন্ম নিয়ন্ত্রণ, গর্ভকালীনসহ নানা সেবা পাচ্ছে ১০ হাজার রোগি
বলরাম দাশ অনুপম :
করোনাকালীণ সময়েও চকরিয়ায় এগিয়ে যাচ্ছে পরিবার পরিকল্পনা সেবা কার্যক্রম। জন্ম নিয়ন্ত্রণ সেবা, গর্ভকালীন সেবা, গর্ভত্তোর সেবা, কিশোর-কিশোরীদের বয়ঃসন্ধিকালীন স্বাস্থ্য সেবাসহ বিভিন্ন সেবা প্রদানের মাধ্যমে এই উপজেলার প্রত্যন্ত অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়েছে পরিবার পরিকল্পনা কার্যালয়ের সেবার পরিধি। চকরিয়া উপজেলার সব ইউনিয়ন পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রগুলোতে প্রতিদিনই সেবা নিতে ও স্বাস্থ্য বিষয়ক নানা তথ্য জানতে সেবাপ্রার্থীরা আসছে। বিশেষ করে চকরিয়া উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা হিসেবে বিধান কান্তি রুদ্র যোগদান করার পর থেকে পাল্টে যেতে শুরু করে জেলার সবোর্চ্চ ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত এই উপজেলায় পরিবার পরিকল্পনা সেবার মান। জানা যায়-২০১৯ সালের ১ আগষ্ট উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা হিসেবে চকরিয়ায় যোগদান করেন বিধান কান্তি রুদ্র। এর পর থেকে তিনি নিজের কর্মদক্ষতা, জেলা কর্মকর্তার পরামর্শে সরকারের সার্বিক সেবা সমূহ সাধারণ মানুষে মাঝে পৌঁছে দিতে সততার সাথে কাজ করে যাচ্ছেন। চকরিয়া উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কার্যালয় সূত্রে জানা যায়-উপজেলার ১৮টি ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রে জন্ম নিয়ন্ত্রণ পদ্ধতির সকল সেবা, মহিলাদের গর্ভকালীন সেবা, গর্ভত্তোর সেবা, কিশোরী-কিশোরী সেবা, শিশু সেবা, টিকা প্রদানসহ সাধারণ সব সেবা প্রদান করা হচ্ছে। প্রতি মাসে এসব ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রে ১০ থেকে ১২ হাজার সেবাপ্রার্থীকে সেবা প্রদান এবং বিনামূল্য ওষুধ দেয়া হয়। তাছাড়া ১৬টি ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রে ২৪ ঘন্টা স্বাভাবিক ডেলিভারি সার্ভিস চালু করা হয়েছে। এসব কেন্দ্রে প্রতিমাসে দুইশো থেকে তিনশোটি স্বাভাবিক ডেলিভারি হচ্ছে বলে জানা গেছে। এছাড়াও বর্তমান করোনাকালীন সময়েও চকরিয়া উপজেলার ডুলাহাজারা এবং খুটাখালী ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রে দুইশোর উপরে বিনামূল্যে স্বাভাবিক ডেলিভারী করানো হয়েছে। গত এক বছরে চকরিয়া উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কার্যালয়ের অধীনে যেসব সেবা প্রদান করা হয়েছে তা জেলার মধ্যে সবোর্চ্চ সেবা। ডুলাহাজারা রংমহল এলাকার গৃহবধু কুলসুমা বেগম বলেন-আমি ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্র করে সেবাগ্রহণ করেছি এবং এখানেই আমার বাচ্ছা প্রসব হয়েছে। শুধু তাই এই কেন্দ্রের চিকিৎসা সেবা আগের চেয়ে ভাল হওয়ায় আমরা নিশ্চিন্তে এখানে সেবা পাচ্ছি। ইউনিয়ন তথ্য সেবা কেন্দ্র অতি সহজে হাতের কাছে সেবা পেয়ে খুশি কৈয়ারবিলের কিশোরী সালেহা আক্তার। তিনি জানান-কিশোরীদেয় বয়ঃসন্ধিকালীন অনেক বিষয় উপজেলায় কিংবা ডাক্তারের চেম্বারে গিয়ে বলা অনেক সময় সহজ হয় না। হাতের কাছে পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রে সব সেবা পাচ্ছি। চকরিয়া উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা বিধান কান্তি রুদ্র জানান, উপজেলার সকল ইউনিয়ন স্বাস্থ্য কল্যাণ কেন্দ্রে গর্ভবতী মায়েদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা, শিশুদের টিকা ও শিশু জন্মের পর মায়েদের স্বাস্থ্যসেবা প্রদান করা হয়ে থাকে। এছাড়া যুবক যুবতীদের স্বাস্থ্য সম্পর্কে ধারণা ও পরিবার পরিকল্পার বিভিন্ন পদ্ধতি সম্পর্কে ধারণা প্রদান করা হয়। তিনি জানান-ইতোমধ্যে প্রতিটি ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রে সৌর বিদ্যুৎ, আইপিএস ও গভীর নলকূল স্থাপনসহ নানা সুবিধাদি চালু করা হয়েছে। তিনি বলেন- এগিয়ে যাচ্ছে দেশ, উন্নত হচ্ছে স্বাস্থ্য সেবার মান। আর এই ধারাবাহিকতা অব্যাহত রাখতে কাজ করে যাচ্ছে উপজেলা ও ইউনিয়ন পর্যায়ের এ সকল প্রতিষ্ঠান।