এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের জাতীয়করণের দাবিতে ধর্মঘট চলছে

: নুরুল করিম রাসেল
প্রকাশ: ৭ years ago

টেকনাফ টুডে ডেস্ক : জাতীয়করণের দাবিতে আজও সারাদেশে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ধর্মঘট চলছে। এ কারণ শিক্ষার্থীদের ক্লাস ও পরীক্ষাও বন্ধ হয়ে আছে। আজকের মধ্যে সরকারের পক্ষ থেকে দাবি মেনে নেওয়ার কোনো ঘোষণা না এলেই আগামীকাল সোমবার থেকে টানা ধর্মঘটে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন সারা দেশের এমপিওভুক্ত শিক্ষকরা।
গতকাল সারা দেশের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পূর্বঘোষিত কর্মসূচি হিসেবে ধর্মঘট পালিত হয়েছে। দুই দিনব্যাপী কর্মসূচি হিসেবে আজও ধর্মঘট পালন করছেন তারা।
১৭ দিন ধরে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে শিক্ষকরা জাতীয়করণের দাবিতে বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করে আসছেন। গতকালও তারা অনশনে অংশ নিয়েছেন।
এদিন অসুস্থ হয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন সাতজন শিক্ষক। এ নিয়ে অসুস্থ হওয়া মোট শিক্ষকের সংখ্যা ১৫৪ জন। বেসরকারি শিক্ষা জাতীয়করণ লিয়াজোঁ ফোরামের ব্যানারে এ আন্দোলন চলছে।
লিয়াজোঁ ফোরামের প্রচার সচিব এনামুল ইসলাম মাসুদ জানান, এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসমূহ জাতীয়করণের এক দফা দাবিতে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে ১০ জানুয়ারি থেকে শিক্ষকরা অবস্থানে অংশ নেন। ১৫ জানুয়ারি থেকে এ অবস্থান আমরণ অনশন কর্মসূচিতে রূপ নেয়। জাতীয়করণের এক দফা দাবিতে সারা দেশ থেকে পাঁচ শতাধিক শিক্ষক-কর্মচারী এতে যোগ দিয়েছেন।
জাতীয়করণের দাবিতে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে গতকালও অনশন পালন করেছেন বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা। ২১ জানুয়ারি জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে আন্দোলনে নেমেছেন তারা। তিন শতাধিক বেসরকারি প্রাথমিকের শিক্ষক আন্দোলনে অংশ নিয়েছেন। গতকাল আমরণ অনশন শুরু করেছেন তারা।
বেসরকারি প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সভাপতি মামুনুর রশিদ খোকন বলেন, ধাপে ধাপে বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলো সরকারি করা হয়েছে। ২০১৩ সালে ২৬ হাজার ১৯৩টি স্কুল জাতীয়করণের ঘোষণা দেওয়া হয়। এ সময় বাছাই কমিটি প্রায় ১০ হাজার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান জাতীয়করণের বাইরে রাখে। পরে আর এগুলো সরকারি করার কোনো উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। এই শিক্ষকরা সরকারের কাছ থেকে কোনো বেতন-ভাতা পাচ্ছেন না। জাতীয়করণের যোগ্য বিদ্যালয়গুলো সরকারি ঘোষণা দিতে হবে। নইলে টানা কর্মসূচি চলবে।
শিক্ষকরা বলেন, আমাদের চাকরি আছে কিন্তু বেতন নেই। অবিলম্বে এসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান সরকারি করার উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে।