ফরিদুল মোস্তফা খান : কক্সবাজার-৩ (সদর-রামু) আসনের সরকারদলীয় সংসদ সদস্য সাইমুম সরওয়ার কমল বলেছেন, কক্সবাজারকে নিয়ে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মহাপরিকল্পনা রয়েছে বলেই এখানে হাজার কোটি টাকার উন্নয়ন কর্মকাÐ হচ্ছে। সারাদেশের চেয়ে কক্সবাজারেই নজিরবিহীন পরিবর্তন আসছে। শেখ হাসিনা ক্ষমতায় থাকলে আগামী কয়েক বছরের মধ্যেই এটি হবে তিলোত্তমা নগরী। স্বপ্নের দেশ সিঙ্গাপুরের চেয়ে কক্সবাজার হবে আরো জৌলুসপূর্ণ। সবমিলিয়ে শিক্ষা, উন্নয়ন ও সেবায় এই পর্যটন নগরী দিনদিন শীর্ষস্থান দখল করে নিচ্ছে।
নিজ এলাকার উন্নয়ন কর্মকাÐ ও আগামীর পরিকল্পনা নিয়ে প্রতিবেদককে দেওয়া একান্ত সাক্ষাতকারে এমপি কমল আরো বলেন, আমার সময়কালে কক্সবাজার সদর-রামুর গ্রামে গ্রামে যে উন্নয়ন হয়েছে, তা শুধু নজিরবিহীন বললেই হবেনা। সদরকে শতভাগ এবং রামুকে ৯০ শতাংশ বিদ্যুতায়ন করা হচ্ছে। সরকারের উন্নয়নের সুফল সব মানুষের কাছে পৌঁছছে।
তিনি বলেন, ঈদগাঁওকে আলাদা উপজেলা করার যে ঘোষণা দেওয়া হয়েছিল তা অতিশিঘ্রই বাস্তবায়ন হচ্ছে। নির্বাচনী এলাকার দুই উপজেলার প্রায় ৮ হাজার বেকার যুবক-যুবতিকে ইতোমধ্যেই কর্মস্থানের ব্যবস্থা করেছি। ১৯টি নতুন উচ্চবিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেছি। পর্যায়ক্রমে সব বেসরকারী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে সরকারীকরণের প্রচেষ্টা থাকবে। প্রতিটি কলেজে মাস্টার্সসহ অনার্স কোর্স চালু করা হচ্ছে। উচ্চ শিক্ষার জন্য দেশের বাইরে যেতে ইচ্ছুক মেধাবী শিক্ষার্থীদের সবপ্রকারের সহায়তা এবং কর্মসংস্থানমুখি শিক্ষার জন্য ক্রিড়া ও কারিগরী প্রতিষ্ঠানকে আলাদা গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে।
ব্যক্তিগত জীবনে প্রায় ১৮ ঘন্টা কর্মব্যস্ত থেকেও ক্লান্ত না হওয়া গরীববান্ধব এই এমপি তার দায়িত্বকালের যাবতীয় উন্নয়ন কর্মকাÐের বিস্তারিত ফিরিস্তি তুলে ধরে আরো বলেন, শুধু প্রধানমন্ত্রীর বদান্যতায় প্রায় দুই হাজার ২শ কোটি টাকা ব্যয়ে কক্সবাজার বিমানবন্দরকে আন্তর্জাতিকমানের রূপান্তরের পাশাপাশি ১৮ হাজার কোটি ব্যয়ে রেল লাইন নির্মাণ করা হচ্ছে। ২শ দুই কোটি টাকা ব্যয়ে বাঁকখালী বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ পুরোদমে এগিয়ে চলছে। আড়াইশ কোটি টাকা ব্যয়ে কক্সবাজার খুরুশকুল সংযোগ সেতুর কাজ চলমান। ৪৮ কোটি টাকা ব্যয়ে সদরের ভারুয়াখালী-খুরুশকুল সংযোগ সেতুর টেন্ডার হয়েছে। ৫ হাজার সাত কোটি টাকা বরাদ্দে রামুতে সেনানিবাস করা হয়েছে।
প্রত্যন্ত অঞ্চলে প্রায় ২শ কোটি টাকার অবকাঠামো উন্নয়ন করে এমপি কমল ক্ষান্ত হননি বলে জানিয়ে প্রতিবেদককে বলেন, সারাদেশের সাথে পাল্লা দিয়ে প্রধানমন্ত্রী কক্সবাজারকে আমুল পরিবর্তন করে দিচ্ছেন। কোন কিছু চাইবার আগেই তিনি এই অঞ্চলের মানুষের জন্য শুধু দিচ্ছেন আর দিচ্ছেন। এই জন্যই আমি দিনরাত নিরলস কাজ করে যাচ্ছি। আমার স্বপ্ন শুধু নির্বাচনী এলাকাকে মনের মাধুরি দিয়ে সাজানো।
এমপি কমল বলেন, প্রধানমন্ত্রী নিজে এসে সাগরতীরে মেরিনড্রাইভ উদ্বোধন করে কক্সবাজারকে আরো কয়েক ধাপে এগিয়ে দিয়ছেন। একদিকে সাগর অপরদিকে পাহাড় তার মাঝখানে নয়নাভিরাম এই সড়ক সম্ভবত কোন উন্নত বিশ্বেও নেই।
আল্লাহর রহমতে ক্ষমতায় থাকলে মালয়েশিয়া, থাইল্যান্ড, ভারত, আন্দামান দ্বীপ ও মিয়ানমারে আটক এই অঞ্চলের শতাধিক মানুষকে ফিরিয়ে আনা হবে। এই জন্যই কুটনৈতিক তৎপরতা অব্যাহত রয়েছে। রামু-কক্সবাজার সদরে যতসব মসজিদ, মন্দির ও বৌদ্দমন্তির রয়েছে-তার সবগুলোতে সাধ্যমতো সহায়তা করা হচ্ছে। কক্সবাজার কেন্দ্রীয় ঈদগাহ ময়দানের উন্নয়নের জন্য ৫০ লাখ টাকা দেয়া হবে।