উন্নয়ন প্রকল্পের বরাদ্দকৃত চাল কালো বাজারে বিক্রির অভিযোগ

লেখক: নুরুল করিম রাসেল
প্রকাশ: ৯ years ago

কায়সার হামিদ মানিক, উখিয়া |
কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলার উন্নয়ন প্রকল্পের বরাদ্দ হরিলুট হওয়ার অভিযোগ উঠেছে। বিশেষ করে কাজের বিনিময়ে খাদ্য কাবিখার শত শত টন চাল কালোবাজারীদের নিকট বিক্রি করে দিচ্ছে। সংশ্লিষ্টরা কোন কাজ না করেই কালো বাজারীদের হাতে বরাদ্ধকৃত খাদ্যশস্য বিক্রি করে দিয়ে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। প্রকল্প অফিসের খাতা পত্রে মনগড়া কাজের বাস্তবায়ন হয়েছে উল্লেখ করলেও বাস্তবে কাজের কাজ কিছুই হয়নি। সরকারের এসব বরাদ্দকৃত অর্থ সংশ্লিষ্টরা অত্যন্ত কৌশলে সবাইকে ম্যানেজ লুট করে নিচ্ছে। শুধু তাই নয় প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা কোন কাজ না করেই কালো বাজারিদের নিকট খাদ্য বিক্রি করে নিজেদের পকেট ভারি করেছে বলে সচেতন মহলের অভিযোগ। এ ক্ষেত্রে প্রকল্প গুলো তদন্ত করলে যার কোন দৃশ্যমান অস্থিত্ব খুঁজে পাওয়া যাবেনা। এছাড়া উন্নয়নের এসব অর্থ হরিলুট হওয়ার ফলে জনসাধারণ কাঙ্খিত উন্নয়ন থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। ৪০ দিনের কর্মসৃজনও প্রকল্পের কোটি কোটি আত্মসাৎ করে নিচ্ছে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা। একই ভাবে টিআর রিলিফ টেস্টের লক্ষ লক্ষ টাকা ভূঁয়া বিল ভাউচার ও কাল্পনিক কাগজ পত্র তৈরি করে হাতিয়ে নিচ্ছে। যেন এসব দেখার কেউ নেই। একাধিক ইউপি সদস্য উপজেলার সমস্ত উন্নয়ন প্রকল্প কোটি কোটি টাকা একটি সিন্ডিকেট দীর্ঘদিন ধরে আত্মসাৎ করে আসছে। এসব তদন্ত করলে থলের বিড়াল বেরিয়ে আসবে। এসবের নেপথ্যে প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিস, খাদ্য গুদাম কতৃপক্ষ এভাবে বছরের পর বছর উন্নয়ন কাজের অর্থ ও চাল লুট করে নেওয়ায় উন্নয়ন বঞ্চিত জনগণের মাঝে চাপা ক্ষোভ বিরাজ করতে দেখা গেছে। যদি সরকার সহ এডিবি কর্তৃপক্ষ টিআর কাবিখা, কাবিটা ও কর্মসৃজন প্রকল্পের অর্থের যোগান দিয়ে আসছে তথাপি উন্নয়ননা করে অর্থ আত্মসাতের কারণে ভবিষ্যতে এসব উন্নয়ন প্রকল্প থেকে মুখ ফিরিয়ে নিতে পারে সহযোগীরা। এখানে কাজের নামে কোটি কোটি টাকা ও খাদ্য লুপাট করে কালো বাজারিদের নিকট বিক্রি করে আজ তারা রাতারাতি কোটিপতি। স্থানীয়রা প্রকল্প বাস্তবায়ন ও খাদ্য বিভাগের যোগসাজসে সংশ্লিষ্টরা এক প্রকার নীরবেই এসব অর্থ হাতিয়ে নেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগে জানা গেছে। এছাড়া ডিলার হিসাবে উখিয়া ছয়তারা রাইচ মিল নামক একটি ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানও জড়িত বলে জানা গেছে। এদিকে দূর্ণীতির সংবাদ পত্রিকায় প্রকাশ না করার জন্য উখিয়ার কর্মরত ১০/১২ জন সাংবাদিকদেরকে টাকার বিনিময়ে ম্যানেজের চেষ্টা করার খবর পাওয়া গেছে।