উখিয়া (কক্সবাজার) সংবাদদাতা :
কক্সবাজারের উখিয়া বালুখালীতে অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারের ঘটনায় ষড়যন্ত্রকারীরা আতঙ্কে ও আতœগোপনে রয়েছে বলে জানা গেছে। অপরদিকে বহিরাগতদের আনাগোনা বৃদ্ধি ও রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের আশংকা করছেন এলাকাবাসী। ঘটনাস্থল ঘুরে ও এলাকাবাসীর সাথে কথা বলে জানা যায়, গত ১ এপ্রিল পালংখালী ইউনিয়ন পরিষদের বর্তমান মেম্বার ও উপজেলা যুব লীগের যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক নুরুল আবছারের অফিস থেকে তিনটি দেশীয় বন্দুক, পাঁচটি কিরিচ ও দু রাউন্ড কার্তুজ উদ্ধার করেছে জেলা গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) সদস্যরা। তবে সে সময় কাউকে আটক করা হয়নি।
এ ঘটনায় বালুখালীতে দুটি গ্র“প মুখোমুখি অবস্থানে রয়েছে। স্থানীয় সাবেক ইউপি সদস্য আলী আহমদ, আজিজ মেম্বার, আবুল কালাম, আব্দুল মান্নান, অছিয়র রহমান, নুরুল বশর, নুরুল হাকিম ও দিদারুল আলম বলেছেন, বর্তমান মেম্বার ও যুবলীগ নেতা নুরুল আবছারের জনপ্রিয়তায় ঈর্ষান্বীত হয়ে পরাজিত গ্র“প তাকে অস্ত্র দিয়ে ফাঁসানোর জন্য এই অপতৎরতায় লিপ্ত রয়েছে।
এ ব্যাপারে বর্তমান মেম্বার নুরুল আবছার বলেন, অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী ফজল কাদের ভূট্রো আমার অফিসে অস্ত্র ঢুকিয়ে দিয়ে আমাকে ফাঁসানোর ষড়যন্ত্র করেছে। তার অতীত ইতিহাস পর্যালোচনা করলে আসল রহস্য বেরিয়ে আসবে। এলাকাবাসী তার মুখোশ উন্মোচন করতে এবং প্রকৃত অস্ত্রধারীদের গ্রেপ্তারের দাবিতে শিগগিরিই জনসভা করে বৃহত্তর কর্মসূচী ঘোষনা করা হবে।
এ ব্যাপারে পালংখালী ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক প্যানেল চেয়ারম্যান ফজল কাদের ভূট্রো বলেন, জাহাঙ্গীরের বড় ভাই ও নুরুল আবছার মেম্বারের পার্টনার বখতিয়ার মেম্বার ঢাকায় ৫০ হাজার ইয়াবা নিয়ে গ্রেপ্তার হয়। তার গ্রেপ্তারের ঘটনায় আমার হাত আছে বলে তখনো বলেছিল। এবার নুরুল আবছার ও জাহাঈীরের অফিস থেকে অস্ত্র উদ্ধার হলে আমার ষড়যন্ত্র বলে নিজেকে বাঁচানোর চেষ্টা চালাচ্ছেন। তাদের সাথে আমার পারিবারিক দ্বন্ধ রয়েছে সত্য কিন্তু তাই বলে তাদের অপকর্ম আমার ওপর চাপিয়ে দিয়ে পার পাওয়া সহজ হবে না। যেহেতু তাদের অফিস থেকে এই অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার হয়েছে। তার অফিস থেকে আমার বাড়ি ৩ কিলোমিটার, তাছাড়া অফিস ও ঐ এলাকা তাদের নিয়ন্ত্রণে সেখানে আমাকে জড়ানোর প্রশ্নই আসে না। আমি এই অবৈধ অস্ত্রধারীদের গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তি দাবি করছি।
পালংখালী ইউনিয়ন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক জাফর আলম, ২ নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি আয়ুব মেম্বার ও ১ নং ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মীর কাশেম মীরু, উপজেলা যুব লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুর রহিম রাজা, উপজেলা আওয়ামীলীগের সদস্য নুরুল আলম বাঘা, ১নং ওয়ার্ডের সাবেক মেম্বার জামায়াত নেতা গফুর উল্লাহ ও উপজেলা বিএনপির যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক সাবেক মেম্বার সেলিম জাহাঙ্গীর জানান, জনপ্রতিনিধিদের অফিস থেকে অস্ত্র উদ্ধার জননিরাপত্তার জন্য হুমকি, তাছাড়া এ ঘটনায় জনসভা হলে এক পক্ষ অন্য পক্ষকে ঘায়েল করে কথা বলবেন, তাই রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের আশঙ্খা দেখা দিবে। এলাকায় এমনিতেই অশান্তি বিরাজ করছে। সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে প্রকৃত রহস্য উৎঘাটন করা এই মুহুর্তে জরুরী হয়ে পড়েছে।
এই ব্যাপারে পালংখালী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এম গফুর উদ্দিন চৌধুরী বলেছেন, অবৈধ অস্ত্র পেয়েছে সেটা বড় কথা নয়, অস্ত্রগুলির উৎস্য কোথায় সেটাই দেখার বিষয়। আমি অধিকতর তদন্ত পূর্বক প্রকৃত অপরাধীদের আইনের আওতায় আনার দাবি জানাচ্ছি। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এলাকার কয়েকজন মুরুব্বি জানান, এখানে নির্বাচন চলাকালিন সময়ে মহেশখালী থেকে আসা বহিরাগত লোকজন এখনো অবস্থান করায় জনমনে ভয়ের কারণ হয়ে দাঁিড়য়েছে।
