নিজস্ব প্রতিনিধি, উখিয়া |
উখিয়ার বহুল আলোচিত ধর্ষণ মামলার আসামী একাধিক নারী লুন্ঠনকারী নামে খ্যাত ও মানব পাচারকারীদের অন্যতম হোতা মোঃ ইসমাইল প্রকাশ ইসমাইল দালাল অধরা। সে দীর্ঘ দিন ধরে তার নিজ গ্রাম ও এলাকার বাহিরে উঠতি বয়সী সুন্দরী যুবতীদেরকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে মানব পাচারের সেই কালো টাকার পাহাড় দিয়ে সুকৌশলে কক্সবাজার, চট্রগ্রাম ও ঢাকার আলিশান হোটেলে নিয়ে গিয়ে তাদেরকে তাদের ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোর পূর্বক ধর্ষণ করে থাকে বলে জানা যায়।
জানা গেছে, উপজেলার রাজাপালং ইউনিয়নের ফলিয়াপাড়া গ্রামের জাফর আলমের ছেলে এলাকার চিহ্নিত নারী কেখো ইসমাইল গত ৫ অক্টোবর সন্ধা ৭ টার দিকে তার পার্শ্ববর্তী কাতার প্রবাসী আলী হোছনের মেয়ে ফরিদা আক্তার (২১) কে ফুঁসলিয়ে তার মাধ্যমে বাড়ী থেকে স্বর্ণলংকার ও নগদ প্রায় আড়াই লক্ষাধিক টাকা হাতিয়ে নিয়ে তাকে সু Ñ কৌশলে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে কক্সবাজারের একটি হোটেলে নিয়ে গিয়ে তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে তাকে দফায় দফায় ধর্ষণ করে। পর দিন সকালে সে তার কথা মত চট্রগ্রাম যেতে অপরাগতা প্রকাশ করিলে তাকে অস্ত্রের মূখে জিম্মি করে জোরপূর্বক চট্রগ্রাম তার বন্ধুর কাছে নিয়ে গিয়ে গৃহবন্ধি করে তাকে দীর্ঘ ১ মাস শারীরিক ও মানষিক নির্যাতন চালিয়ে গৃহবন্ধি অবস্থায় তাকে ফেলে লম্পট ইসমাইল অন্যত্রে পালিয়ে যায়। উক্ত ঘটনাকে কেন্দ্র করে ধর্ষীতা বাদী হয়ে ৯ অক্টোবর বিচারক (জেলা জজ) নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল কক্সবাজার আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন। যার সি,পি মামলা নংÑ ১৫৬১/২০১৬ইং দায়ের করেন। বিজ্ঞ আদালত উক্ত ধর্ষণ মামলাটি আমালে নিয়ে উখিয়া থানার ওসি কে মামলাটি নথিভুক্ত করার জন্য নির্দেশ প্রদান করেছেন। ফরিদা আক্তার অভিযোগ করে বলেন, লম্পট ইসমাইল শুধু আমার ইজ্জত নষ্ট করে নাই, সে এলাকার আরো অনেক নারীর ইজ্জত লুন্ঠন করেছে। আমি শিঘ্রই তাকে গ্রেপ্তার পূর্বক কঠিন শাস্তির আওতায় নিয়ে আসার জন্য জেলা পুলিশ সুপার ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রনালয়ের হস্তক্ষেপ কামনা করছি। স্থানীয় সচেতন মহলের দাবী, ধর্ষণ মামলার আসামী ইসমাইলকে শিঘ্রই গ্রেপ্তার পূর্বক কঠিন শাস্তির আওতায় নিয়ে আসা না হলে, এলাকার উঠতি বয়সী স্কুল ও কলেজ পড়–য়া ছাত্রীরা তার ধর্ষনের কবল থেকে রক্ষা পাবেনা বলে জানান। এ ব্যাপারে থানার ওসি মোঃ আবুল খায়ের ধর্ষন মামলার আসামী আটকে পুলিশি অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলে তিনি জানান।