টেকনাফ টুডে ডেস্ক : আলীকদমে গ্রামীণ রাস্তাÑঘাটের বেহাল দশা। যাতায়তে দুর্ভোগ পোহাচ্ছে স্থানীয়রা। বিগত তিন চার বছর ধরে ভঙ্গুর রাস্তা-ঘাট মেরামত করার দাবী উঠেছে।
আলীকদম উপজেলার চৈক্ষ্যং ইউনিয়নের কয়েকটি গ্রাম ঘুরলে মনে হবে যেন, উন্নয়নে পিছিয়ে পড়া এক জনপদ। স্থানীয়রা জানেন না বার্ষিক উন্নয়ন সহায়তা তহবিলের সংস্কার-মেরামতের অর্থ দিয়ে কি হয়। জনগন ভোটের মাধ্যমে প্রতিনিধি নির্বাচন করে দিয়েছে গ্রামের যোগাযোগ-অবকাঠামো ও সার্বিক জীবনমানোন্নয়নের জন্য। কিন্তু অবকাঠামো উন্নয়নতো হচ্ছেইনা উল্টো ইতিপূর্বের রাস্তা-ঘাট গুলো নিচিহ্ন হতে চলেছে।
উপজেলার সোনাইছড়ি গ্রামের একটি রাস্তার বেহাল দশার বাস্তব অভিজ্ঞতা রিপোর্টার উদাহারণ টেনে যেতে পারে। সোনাইছড়ি দুর্গম গ্রামে যাতায়তের একমাত্র ইটের রাস্তাটি বিগত কয়েক বছর হয় বিভিন্ন অংশের ইট উঠে গেছে। পুরো রাস্তাটি চলাচলে অনোপযুগি হয়ে পড়েছে। বিগত কয়েক বর্ষায় রাস্তার বেশিরভাগ ভেঙ্গে গেছে। সড়কে ঝিরির উপর দিয়ে নির্মিত একটি ব্রীজের এক পাশ কয়েক মিটার ভেঙ্গে রীতিমত খাল হয়ে গেছে। ব্রীজটির একদিকে তিনটি গাছের বল্লির সাঁকো বানিয়ে চলাচল করছে গ্রামের লোকজন। বিশেষ করে জীবন ঝুঁকি নিয়ে যাতায়ত করছেন বৃদ্ধ ও স্কুলগামী শিশুরা।
সংস্কার না করায় পুরো রাস্তাটি বিলীন হতে চলেছে। দুর্গমের পাহাড়ে জুমে উৎপাদিত ফসল বাজারজাতে উপজাতি, অ-উপজাতি কৃষকরা চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন। পরিবহন সংকটে অনেক প্রান্তিক কৃষক চাষাবাদ বন্ধ রেখেছে(!)। রাস্তাটি সংস্কার করা হলে স্থানীয় কৃষক, স্কুলগামী শিশু-কিশোরসহ যাতায়তে সুফল পাবে স্থানীয় পাহাড়ী বাঙ্গালী শতাধিক পরিবার। বিষয়টি পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রীর মনোযোগ আকর্ষণ করেছেন স্থানীয়রা।