টেকনাফ টুডে ডেস্ক : ২০০১ সালের এই দিনে মৃত্যুবরণ করেন সুরকার, যন্ত্রসংগীতশিল্পী ও সংগীত পরিচালক সমর দাস। মুক্তিযোদ্ধা এই সংগ্রামী শিল্পীর জন্ম ঢাকার লক্ষ্মীবাজারে ১৯২৫ সালের ১০ ডিসেম্বর। তার বাবার নাম জিতেন্দ্রনাথ দাস ও মা কমলিনী দাস। পারিবারিকভাবে তিনি সংগীতের আবহে বেড়ে ওঠেন। প্রথমে বাবার কাছে শেখেন বেহালা, নর্থ ফিল্ড নামক এক মিশনারির কাছে শেখেন পিয়ানো, গিটার ও বাঁশি। পরে অন্যান্য যন্ত্রসংগীতেও তিনি দক্ষতা অর্জন করেন। দেশভাগের পর ঢাকাকেন্দ্রিক নাগরিক সংগীত ঐতিহ্য গড়ে তোলার ক্ষেত্রে দুজন সংগীত ব্যক্তিত্বের অবদানকে গুরুত্বপূর্ণ মনে করা হয়, তিনি তার মধ্যে একজন। ১৯৪৫ সালে তিনি অল ইন্ডিয়া রেডিও, ঢাকা কেন্দ্রে বাঁশিশিল্পী হিসেবে যোগ দেন, কলকাতা বেতারসহ কলকাতা এইচএমভি গ্রামোফোন কোম্পানিতেও যন্ত্রসংগীতশিল্পী হিসেবে কাজ করেন। ১৯৫৩ সালে ঢাকা বেতারে যোগ দেন। ১৯৬৬ সালে তিনি কিছুকাল করাচিতে পিআইএ সাংস্কৃতিক দলের সংগীত বিভাগের প্রধান ছিলেন। স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রে প্রধান সংগীত পরিচালকের দায়িত্ব পালন করেন তিনি। ‘মুখ ও মুখোশ’সহ নানা চলচ্চিত্রে তিনি কাজ করেছেন। কলকাতার এইচএমভি কোম্পানি ১৯৭২ সালে ‘বাংলাদেশের হৃদয় হতে’ নামে একটি লংপ্লে রেকর্ড প্রকাশ করে, যাতে রয়েছে বাংলাদেশের মুক্তি-সংগ্রামের ২৬টি গান। তিনি ছিলেন এ রেকর্ডের সংগীত পরিচালক। বাংলাদেশ বেতারের সূচনাসংগীত তার কম্পোজ করা। ১৯৯৩ সালে ঢাকায় সাফ গেমসের সূচনা ও সমাপনী সংগীত তিনি রচনা করেন। তার সৃষ্ট সুরে বহু গান জনপ্রিয়তা লাভ করে এবং সেসব গান গেয়ে অনেক শিল্পী সংগীতজীবনে প্রতিষ্ঠা লাভ করেন। ১৯৯৭ সালে তিনি স্বাধীনতা পদক লাভ করেন।