আজ বিশ্ব মান দিবস : পণ্যের মান বাস্তবায়নে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর আহ্বান

: নুরুল করিম রাসেল
প্রকাশ: ৬ years ago

টেকনাফ টুডে ডেস্ক : অাজ ১৪ অক্টোবর, ৪৯তম বিশ্ব মান দিবস। পণ্য ও সেবার মানের বিষয়ে সচেতনতা তৈরিতে প্রতিবছর বিশ্বব্যাপী এ দিবসটি পালন করা হয়। ‘চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের প্রেক্ষাপটে আন্তর্জাতিক মান’ এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও দিবসটি যথাযোগ্য মর্যাদায় পালন করা হবে।

দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু, এবং শিল্প মন্ত্রণালয়ের ভারপ্রাপ্ত সচিব মো. আবদুল হালিম পৃথক পৃথক বাণী দিয়েছেন।

জাতীয় মান সংস্থা হিসেবে বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস অ্যান্ড টেস্টিং ইন্সটিটিউশন (বিএসটিআই) দিবসটি উপলক্ষে বিভিন্ন কর্মসূচি হাতে নিয়েছে। এরই অংশ হিসেবে বিএসটিআই’র প্রধান কার্যালয়ের পাশাপাশি আঞ্চলিক অফিসগুলোতে আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়েছে। বাংলাদেশ টেলিভিশনে বিশেষ সাক্ষাৎকারভিত্তিক আলোচনা অনুষ্ঠান সম্প্রচার এবং বাংলাদেশ বেতারে আলোচনা ও কথিকা সম্প্রচারের ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। এ ছাড়া, রাজধানীর বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানে ব্যানার, ফেস্টুন, প্লাকার্ড লাগানো হয়েছে।

দিবসটি উপলক্ষে ১৫ অক্টোবর (সোমবার) দুপুর ১ টায় তেজগাঁওয়ে বিএসটিআই’র প্রধান কার্যালয়ে এক আলোচনা সভা হবে। সভায় প্রধান অতিথি থাকবেন শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু। বিশেষ অতিথি থাকবেন শিল্প মন্ত্রণালয়ের ভারপ্রাপ্ত সচিব মো. আবদুল হালিম ও এফবিসিসিআই’র সভাপতি মো. শফিউল ইসলাম (মহিউদ্দিন)। সভায় সভাপতিত্ব করবেন বিএসটিআই’র মহাপরিচালক সরদার আবুল কালাম।

এ উপলক্ষে পৃথক বাণী দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বাণীতে তারা পণ্যের আন্তর্জাতিক মান বাস্তবায়নে দেশের সরকারি মান নিয়ন্ত্রণ সংস্থা বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস অ্যান্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউশনের (বিএসটিআই) প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।

রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ বলেছেন, বাংলাদেশকে ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত দেশে রূপান্তরের লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে। এ লক্ষ্য অর্জনে সব ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক মান অনুসরণ অপরিহার্য। জাতীয় মান সংস্থা হিসেবে বিএসটিআই-এর এ ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। পণ্যের মান প্রণয়ন ও উন্নয়নের মাধ্যমে জনগণকে কাঙিক্ষত সেবা প্রদানে বিএসটিআই-কে আরও দক্ষ, জবাবদিহি ও দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করতে হবে। জনগণের আস্থা পূরণে বিএসটিআই কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করবে- এটাই দেশবাসীর প্রত্যাশা।

রাষ্ট্রপতি আরও বলেন, শিল্প ও ব্যবসা বাণিজ্যের সব পর্যায়ে প্রথম এবং প্রধান শর্ত হলো আন্তর্জাতিক মান অনুসরণ করা। শিল্পবিপ্লবের এ যুগে গুণগত মানসম্পন্ন প্রযুক্তি ও পদ্ধতির কোনো বিকল্প নেই। বিশেষ করে শিল্পকারখানায় আজ মানুষের পরিবর্তে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ব্যবহার বৃদ্ধি পাচ্ছে, মনুষ্য শ্রমের জায়গায় কারিগরি ও তথ্যপ্রযুক্তি নির্ভর শ্রম জায়গা করে নিচ্ছে। ফলে প্রযুক্তির গুণগতমান নির্ধারণে আন্তর্জাতিক মানের গুরুত্ব বৃদ্ধি পেয়েছে। এ ক্ষেত্রে প্রযুক্তিবিদ, প্রকৌশলী ও উদ্যোক্তা প্রতিষ্ঠানগুলোর উদ্ভাবিত পণ্যগুলোর মধ্যে সংগতিসাধন নিশ্চিত করা অত্যন্ত জরুরি।

অপরদিকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার বাণীতে বলেছেন, আমি আশা করি, বিএসটিআই পণ্য ও সেবার জন্য সময়োপযোগী আন্তর্জাতিক মান বাস্তবায়নের মাধ্যমে দেশের জনগণের জীবনযাত্রার মান উন্নয়নের মাধ্যমে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ গড়ে তুলতে ভূমিকা রাখবে।

তিনি বলেন, বিশ্বব্যাপী ইতোমধ্যে চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের ছোঁয়া লেগেছে। শিল্প বিপ্লবের এ অগ্রযাত্রায় আন্তর্জাতিক মান গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। বিশ্বব্যাপী অধিকতর উন্নত জীবনের চাহিদার পরিপ্রেক্ষিতে এ যুগ হবে অত্যন্ত প্রতিযোগিতামূলক। এই প্রতিযোগিতামূলক বিশ্বে টিকে থাকতে হলে নতুন উদ্ভাবিত প্রযুক্তির পরিবর্তনগুলো গ্রহণ ও বাস্তবায়ন দ্রুততম সময়ের মধ্যে করতে হবে। আন্তর্জাতিক মান অনুসরণের মাধ্যমে আধুনিক প্রযুক্তিনির্ভর ও গুণগত মানসম্পন্ন শিল্পোৎপাদন বাড়ালে বিশ্বের সব দেশে বাণিজ্য সহজতর হবে এবং নতুন নতুন পণ্যের বাজার সৃষ্টির সম্ভাবনার পথও সুগম হবে।