টেকনাফ টুডে ডটকম :
অবশেষে টেকনাফ কায়ুকখালী খালে ৩য় বারের মতো অভিযান চালিয়ে লাল পতাকা পুঁতে খালের দখলকৃত জমি চিহ্নিত করলেন টেকনাফ ভূমি অফিসের কর্মকর্তারা। এর আগে উপজেলা সহকারী কমিশনার প্রনয় চাকমা দুই বার অভিযান চালিয়ে খালের দখলকৃত জমি থেকে মাটি সরিয়ে নিতে নির্দেশ দিলেও সে নির্দেশকে বুড়োআঙ্গুল দেখিয়ে যথারীতি দখল বজায় রেখেছিল ১৩ সদস্যের ভূমিদস্যূ সিন্ডিকেট। পরবর্তীতে দফায় দফায় দখলের সচিত্র সংবাদ ও ভিডিও চিত্র প্রচার হতে থাকলে মঙ্গলবার ২৩ জুলাই ৩য় দফা অভিযান চালান ভূমি কার্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত কানুনগো মোহাম্মদ দেলোয়ার হোসেন, সদর তহসিলদার আবদুল করিমসহ একটি টিম।
এসময় সরজমিন পরিমাপ করে দখলকৃত খালের অংশে ভরাটকৃত জমিতে অবৈধ দখলকৃত প্রায় ২ একর সরকারি জমি লাল পতাকা দিয়ে চিহ্নিত করেন।
মঙ্গলবার (২৩ জুলাই) বিকাল সাড়ে ৫ টার দিকে টেকনাফ পৌরসভার অবৈধ দখলকৃত কায়ুক খালী খাল দখলমুক্ত করতে লাল পতাকা টাগানো হয়।
ভারপ্রাপ্ত কানুনগো মোহাম্মদ দেলোয়ার হোসেন জানান, একটি চক্র টেকনাফ পৌরসভার কায়ুক খালী খালের এক অংশ দখল করে মাঠি ভরাট করে ঘেরা বেড়া দেয়। এর খবর পেয়ে উর্দ্ধতন কতৃপক্ষের নির্দেশে তিনিসহ একটি টিম ওই খালে সরজমিন পরিমাপ করে প্রায় ২ একর সরকারি জমি অবৈধ দখলের প্রমান পাওয়া যায়।
তিনি আরো জানান, এ জমি উচ্ছেদ করতে সেখানে লাল পতাকা টাগানো হয়েছে। অবৈধ দখলকারিদের সরকারি জমি দখলমুক্ত করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এ বিষয়ে পরবতীতে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন।
এদিকে সচেতন মহল দাবী জানিয়েছেন লাল পতাকা পুঁতেই যেন দায়িত্ব শেষ না করেন ভূমি প্রশাসন। খাল দখলকারীদের বিরোদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহনের পাশাপাশি খালের জমি খালে ফিরিয়ে দেওয়ার দাবী জানিয়েছেন তারা।
জানা গেছে, টেকনাফের রাখাইন জমিদার ক্যামরাউ চৌধুরীর উত্তরাধিকার মংগ্রী চৌধুরীর বসতভিটাসহ জমিটি জ্য জ্য চৌধুরীর কাছ বায়না করেন ১৩ সদস্যের একটি সিন্ডিকেট। পরে তারা সেই জমির মাথাখিলা খালের দুই একর জমি রাতের অন্ধকারে মাটি ফেলে ভরাট করে দখল করে নিলে তা নিয়ে ধারাবাহিক সংবাদ প্রকাশিত হতে থাকে।
ইতিমধ্যে জলাবদ্ধাতা নিরসন, নৌ চলাচল ও পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় টেকনাফের প্রাচীন এ খালটি রক্ষার দাবীর সাথে একাত্মতা পোষন করেছেন সব মহল।